CPIM-এর বুথভিত্তিক ফলের তথ্য বলছে ‘বামের ভোট রামে গিয়েছে’!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, ‘দাপুটে’ সিপিএম প্রার্থীরা এবার নিজের বাড়ির বুথেই হেরেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, তিন তরুণ তুর্কি দীপ্সিতা ধর, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যা্য়, সৃজন ভট্টাচার্যরা নিজেদের লোকসভা কেন্দ্রে শুধু হারেননি যেখানে বসবাস করেন সেই পাড়াতেও ‘কাস্তে হাতুড়ি’কে জেতাতে পারেননি।
সুজন ও সায়নের বাড়ি সোনারপুরের দক্ষিণ বিধানসভার কালিকাপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বুথেই হেরেছে সিপিএম। এমনকী ‘লাল শিবিরে’ অনেক আশা জাগানো যাদবপুরের সৃজন ভট্টাচার্য নিজের বাড়ি, যেখানে সেই ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডেও তৃতীয় হয়েছেন, জিতেছেন সায়নী ঘোষ। হাওড়ার বালির নিশ্চিন্দায় নিজের বুথে সিপিএমকে জেতাতে পারেননি শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। তাঁর বাড়ি ১৮৯ বুথে তৃণমূল ৩৫৭ ভোট পেলেও সিপিএম পেয়েছে মাত্র ২৯৪ ভোট। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খান তাঁর নিজের বুথ তো বটেই, দলের রাজ্য স্তরের মুখ হিসেবে পরিচিত মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের বুথেও ভরাডুবি হয়েছে।
বুথভিত্তিক ফলের তথ্যভ বলছে, রাজ্যের অধিকাংশ বুথে এবছর আরও বেশি সংখ্যাোয় বামপন্থীরা পদ্মফুলে ভোট দিয়েছেন। যে তরুণ প্রজন্মকে ভরসা করে পার্টি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিল তারা মুখ থুবড়ে পড়েছে, জমানতও জব্দ হয়েছে অধিকাংশের। ভোটের ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন অধরা, চরম হতাশ বাম ছাত্র-যুবরাও। রাজ্যট কমিটির সদস্য আলিমুদ্দিনের এক প্রবীণ নেতার স্বীকারোক্তি, “এই নির্বাচন প্রমাণ করে দিল, লাল পতাকা নিয়ে এখন যে মুখই নামুক না কেন, রাজ্যের মানুষ বামেদের আর ভরসা করছে না।”