সংক্রমণ এড়াতে অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি দপ্তরে খরচের বিল জমা অনলাইনে
করোনা পরিস্থিতির জন্য আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত সরকারি অফিসগুলির খরচ সংক্রান্ত বিলগুলি ট্রেজারি ও পে অ্যাকাউন্ট অফিসগুলিতে অনলাইনে জমা করতে হবে। অর্থ দপ্তর এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সরকারি স্থায়ী ও চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মী ছাড়াও, সরকারি দপ্তরে এজেন্সি নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের বেতনের বিল লকডাইনের প্রথম থেকে অনলাইনে জমা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন কেনাকাটা সংক্রান্ত, সরকারি কর্মীদের চিকিৎসা খরচ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত বিল অনলাইনে জমা পড়া শুরু হয়। অনলাইনে ট্রেজারি বা পে অ্যাকাউন্টস অফিসে বিল জমা পড়ার পর অর্থ বরাদ্দ হয়ে যাচ্ছে। লকডাউনের সময় এবং পরবর্তীকালে আনলক প্রক্রিয়া চলার সময় সরকারি কর্মী ও চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মীরা নির্ধারিত দিনে বেতন পেয়ে গিয়েছেন।
স্বাভাবিক সময়ে সরকারি অফিসগুলি থেকে ম্যানুয়ালি বিভিন্ন খরচের বিল পাঠানো হয়। ট্রেজারি ও পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসগুলিতে করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অফিস থেকে বিল নিয়ে আসা কর্মীদের ভিড় জমা বন্ধ করার জন্য মূলত অনলাইন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়। সরকারি অফিসগুলিতে কর্মীদের উপস্থিতি এখন অনেক কম। অনেক কর্মী বাড়িতে বসে কম্পিউটারে বিল তৈরির কাজ এগিয়ে রাখছেন। কিন্তু অনলাইনে বিল পাঠানোর প্রক্রিয়া অফিসে এসে করতে হচ্ছে। কারণ বিলের সঙ্গে অফিসের ডিডিও সহ আধিকারিকদের স্বাক্ষরিত নথি স্ক্যান করে পাঠাতে হচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু সরকারি যাবতীয় খরচের নথি প্রিন্সিপ্যাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের অফিসে জমা দিতে হয়, তাই পরবর্তী সময়ে অফিসগুলি অফলাইনে নথি সহ বিল পাঠাবে। সেক্ষেত্রে একজন কর্মী একসঙ্গে অনেক বিল একসঙ্গে নিয়ে যাবেন। তবে নগদ অর্থ প্রদানের কয়েকটি প্রকল্পের জন্য অগ্রিম নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া সংক্রান্ত বিল অনলাইনে জমা হবে না।
এদিকে রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের সেল্ফ অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট (এসএআর) অনলাইনে জমা দেওয়ার সময়সীমা ফের বাড়ানো হয়েছে। গ্রুপ এ অফিসারদের প্রতি আর্থিক বছরের জন্য এসএআর জমা দিতে হয়। এতে কর্মীদের কাজকর্মের খতিয়ান সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য থাকে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের এসএআর জমা দেওয়ার সময়সীমা আগেও দুবার বাড়ানো হয়েছে। এবার ৩১ আগস্টের পর ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন হয়। যা অফিস থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য গ্রুপ এ অফিসারদের অনেকেই নিয়মিত অফিস আসছেন না। ফলে রিপোর্ট জমা দিতে সমস্যা হচ্ছে।