নিট-জেইই ইস্যুতে পার্থর টার্গেট পোখরিয়াল
নিট-জেইই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ককে ট্যুইটারে একহাত নিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু শনিবার লেখেন, ৩০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্ব কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নেবেন? তার ওপরে যাতায়াত ব্যবস্থা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এর মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে পুরো ব্যাপারটাই জট পাকিয়ে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে বলে মত পার্থবাবুর। এদিনই নিট-জেইই পিছনোর দাবিতে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল করে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। ২ সেপ্টেম্বর তাদের তরফে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কীভাবে স্নাতকস্তরের ফাইনাল পরীক্ষা নেবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই খবর। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সরকারের তরফে কোনরকম যোগাযোগ করা হয়নি। বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হলেও, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি একতরফা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। কারণ, করোনাকালে পরীক্ষা আয়োজনের পদ্ধতির বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তই চূডান্ত। তবে সবচেয়ে আতান্তরে পড়েছেন সেই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা, যাঁরা অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এবং অ্যাসাইনমেন্টের নম্বরের ভিত্তিতে ফল পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা বলছেন, এখন নতুন করে পরীক্ষার জন্য মানসিকভাবে তৈরি হওয়াটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ফল প্রকাশ হয়ে না গেলে ব্যাপারটা এতটা অদ্ভুত হত না।
এক পরীক্ষার্থী বলেন, নম্বর জেনে যাওয়ায় কিছুটা নিশ্চিন্তই ছিলাম। যদিও পরীক্ষা নিয়ে যে মামলা চলছে, সে ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতাম। তবে এরকম অবস্থায় পড়ব, আশা করিনি। হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কশিটও দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। ডিস্টিংশন সহ ফার্স্ট ডিভিশন, ৮.৫ সিজিপিএ স্কোর সহ পাশ করা এক ছাত্র একটি সংস্থায় চাকরিও পেয়ে গিয়েছিলেন। কলকাতার বাসিন্দা সেই ছাত্র এখন অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত অঞ্চল তথা সুন্দরবনের কলেজ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেগুলিতে পরীক্ষা পরিচালনা কীভাবে সম্ভব হবে, তা ভেবেই হয়রান হচ্ছেন অনেকে।