বাংলাকে আড়াল করে ফের ফারাক্কা চুক্তির নবীকরণ, রাজ্যে বন্যার আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেল?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শনিবার, দিল্লিতে ভারত ও বাংলাদেশ; দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। মোদী ও হাসিনার বৈঠকে কেন্দ্র ফারাক্কা চুক্তির মেয়াদের নবীকরণ হল ফের। যার জেরে বাংলায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে। আরও ক্ষতির কবলে পড়তে পারে বাংলা। চুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাকে পুরোপুরি অন্ধকারে রাখার অভিযোগ উঠছে? চুক্তিতে অবশ্যই বাংলার অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। আরও অভিযোগ উঠছে, গত চুক্তির প্রাপ্য অর্থও বাংলাকে দেওয়া হয়নি। এর ফলে গঙ্গার ড্রেজিংয়ের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। যা বন্যা ও গঙ্গা ভাঙনের অন্যতম কারণ। তৃণমূল কংগ্রেসে সংসদীয় দলের সূত্রে খবর, এই বিষয়টি আগামী দিনে সংসদে জোরালো ভাবে তুলে ধরতে চলছে দলীয় সাংসদরা।
রাজ্যের শাসক দলের তরফে এনিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই বিষয়ে মোদীকে একাধিকবার চিঠি লিখেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে গঙ্গা চুক্তি হয়। যার মেয়াদ শেষ হাওয়ার কথা ২০২৬ সালে। ১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তির আর্টিকেল বারো অনুযায়ী, দু’পক্ষের সম্মতিক্রমে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কথা। ২০১৭ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ফারাক্কা ব্যারাজ ধূলিসাৎ করে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে বলেন, ফারাক্কা কোনও কাজে লাগে না। প্রতি বছর কেবল বন্যা হয়।
মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ার বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গা ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ২০২২ সালে ফেব্রিয়ারিতে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভাঙনের কারণ ফারাক্কা ব্যারাজ। যার জেরে বাংলার বিপুল সম্পদ, কৃষি জমি এবং আম বাঙালির ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধ্বংস হচ্ছে।
ভারতীয় সংবিধানের ২৫৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, অন্য দেশের সঙ্গে যেকোনও রকম চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংসদ ক্ষমতা রয়েছে আইন বানানোর। কিন্তু তিস্তা চুক্তির সময় দেখা গিয়েছে, বাংলার হস্তক্ষেপ ছাড়া চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কতটা অসহায় ছিল কেন্দ্র সরকার। তারপর কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া তিস্তা চুক্তির বাস্তব রূপায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আবারও বাংলাকে অন্ধকারে রাখা হল! যেখানে বাংলাই এই চুক্তির জেরে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে।