সড়কপথে যাওয়া যাবে সাগর দ্বীপ! মুড়িগঙ্গায় সেতু নির্মাণে শুরু তৎপরতা
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2024/06/1000409277-1024x577.jpg)
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলায় যাতায়াতের জন্য পুণ্যার্থীদের জলপথের উপরেই নির্ভর করতে হয়। গঙ্গার জোয়ার ভাটার জেরে অনেকসময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষাও করতে হয়। তাই মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ভোট শেষ হতেই মুড়িগঙ্গা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করে দিল প্রশাসন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে এ নিয়ে একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। কবে , কীভাবে, নদীর কোন অংশে এই সেতু নির্মাণ হবে সেই পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
সেতু তৈরি করতে কত সময় লাগতে পারে? পূর্তদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, সেতু নির্মাণ করতে অন্তত ৪-৫ বছর লাগবেই। জেটিঘাট থেকে দূরে একটি চিহ্নিত জায়গা থেকে সেতুর কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। লট এইট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত সেতুটি নিয়ে যাওয়া হলে সময় এবং সরকারের খরচা সাশ্রয় হবে বলে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে।
প্রস্তাবিত দু’টি বাঁকযুক্ত সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ৪.৭৬ কিলোমিটার। মুরিগঙ্গার উপরের অংশ হবে ৩১৬৮ মিটারের। লট এইটের দিকে অ্যাপ্রোচ রোড হবে ৯৩২ মিটার এবং কাজুবেরিয়ার দিকে থাকবে ৬৬০ মিটারের অ্যাপ্রোচ রোড। মোট ১২ একর জমি কিনে নেবে রাজ্য সরকার। আপাতত ঠিক হয়েছে, নদীর জলস্তর থেকে ১২-১৩ ফুট উচ্চতায় ব্রিজটি তৈরি করা হবে।
আরও জানা গিয়েছে, মুড়িগঙ্গার উপর ‘পিএসসি সেগমেন্টাল বক্স গার্ডার এক্সট্রা ডোজড ব্রিজ’ তৈরি হবে। এর বৈশিষ্ট্য হল, ব্রিজের কাঠামো মূল গার্ডারের শক্তি বাড়াবে। নদীর উপর ২টি স্তম্ভের মাঝে ১৫০ মিটারের দূরত্ব থাকার কথা রয়েছে। মূল দুই লাইনের সঙ্গে থাকবে একটি রিকভারি লেনও। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই ব্রিজ নির্মাণের খরচ প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। যার পুরোটাই রাজ্যসরকার দেবে। ইতিমধ্যে, জেলা প্রশাসনের তরফে দুপারেই জমি কেনার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, পুজোর আগেই শিলান্যাস যাতে করা যায় সেই মতো প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ব্রিজ নির্মাণ হলে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সাগর দ্বীপ সড়কপথে জুড়ে যাবে। এছাড়াও গাড়িতে সরাসরি পৌঁছনো যাবে কলকাতা থেকে কপিলনমুনির আশ্রমে।