প্রাক্তন মন্ত্রী কাশীকান্ত মৈত্র প্রয়াত
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিশিষ্ট আইনজীবী কাশীকান্ত মৈত্র প্রয়াত হয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শনিবার বিকেলে বিধাননগরের বাড়িতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। এদিন রাতেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। দীর্ঘদিনের বিধায়ক কাশীকান্ত মৈত্রর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এক শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, ‘বর্ষীয়ান ব্যবহারজীবী ও অগ্রণী রাজনীতিবিদ স্বনামধন্য কাশীকান্ত মৈত্রের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রয়াত ডাঃ সুব্রত মৈত্রের পিতা। কাশীকান্তবাবু দীর্ঘদিন কৃষ্ণনগর ও কৃষ্ণনগর পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৩ সালে তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান প্রদান করে। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতে শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি কাশীকান্ত মৈত্রের পরিবার–পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে খুব ভালবাসতেন, আজ এ কথা স্মরণ করি।’
তাঁর বাবা লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র ছিলেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ। আইনজীবী সাধন হালদার ছোটবেলা থেকেই কাশীকান্ত মৈত্রর সঙ্গে থাকতেন। তিনি জানিয়েছেন, কাশীকান্ত মৈত্র ১৯৬২ সালে প্রথম বিধায়ক হন কৃষ্ণনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। ১৯৬৭ সালে অজয় মুখার্জির মন্ত্রিসভায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৯ সালে সোশ্যালিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়ে যুক্তফ্রন্ট সরকারে মন্ত্রী হন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভায় খাদ্যমন্ত্রী। পরে ইস্তফা দিয়ে জনতা দলে যোগ দেন। পুনরায় নির্বাচিত হন। তাঁর স্ত্রী বেলা মৈত্র এবং মেয়ে সোমা রায় রয়েছেন।
লকডাউনের আগেও তিনি নিয়মিত হাইকোর্টে যেতেন। মামলাও লড়েছেন। গেছেন শান্তিপুর, কৃষ্ণনগরের বাড়িতেও। কাশীকান্ত মৈত্রর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে তাঁর বাড়িতে যান রাজ্যের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈবপ্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা বসু, সাংসদ দোলা সেন। যান কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।