খেলা বিভাগে ফিরে যান

ব্যর্থ শুভেন্দু! দিল্লির নজরে ফিরলেন দিলীপ?

June 25, 2024 | 2 min read

দিল্লির নজরে ফিরলেন দিলীপ?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মুখে কুলুপ এঁটেছেন দিলীপ ঘোষ। ইদানিং সাংবাদিকদের সামনেও ‘স্পিকটি নট’ বঙ্গ বিজেপির এই ‘আদি’ নেতা। তবে কি বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব থেকে বড় কিছু বার্তা পেয়েছেন দিলীপ? বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও তাঁর সাম্প্রতিক তৎপরতা কিন্তু নজর কেড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদেরও বলতে শোনা যাচ্ছে, তবে কি দল তাঁকে অন্যভাবে কাজে লাগাতে চাইছে?

বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন যেমনটা করতেন বর্তমানে ভোটে ভরাডুবির পরেও দিলীপের জেলা সফর একই দিশা দেখাচ্ছে। দিল্লি থেকে ফিরে আসার পরে জেলায় জেলায় দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে দিলীপ ঘোষকে। বর্ধমান, মেদিনীপুর, খড়গপুর ব্যারাকপুর, বারাসত, মুর্শিদাবাদে দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে দিলীপ ঘোষকে। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পাশে থাকার আশ্বাস, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগও করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটের ফলাফলে এক ধাক্কায় ১৮ থেকে ১২-তে নেমে এসেছে বিজেপির আসন সংখ্যা। প্রচারে প্রতিশ্রুতির ঢক্কানিনাদ বাজিয়েও বাংলায় ভালো ফল করতে ব্যর্থ হয়েছে পদ্মশিবির। ভোটের ফলাফলে দেখা গিয়েছে একেরপর এক ধরাশায়ী হয়েছেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতা। মাটি হয়ে গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হুংকার। ফলত গতবারের লোকসভায় জয়ী অনেক বিজেপি এমপিরাই এবারে জয়ের মুখ দেখেন নি। সেই তালিকাতেও দিলীপ ঘোষের নাম থাকলেও ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হারনো হয়েছে বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। পরোক্ষভাবে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য নেতৃত্ব শুভেন্দু-সুকান্তর দিকে। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ ছিল ‘জেতা আসন হারানোর জন্য প্ল্যানিং হয়েছে’। তাই মেদিনীপুর থেকে বর্ধমান দুর্গাপুরে প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘এসব কেন করা হয়েছে এগুলো ভাবতে হবে। কিছু তো একটা ব্যাপার আছে। নাহলে যারা পার্টির প্রতিষ্ঠিত নেতা তাঁদের কি হারানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল? লোকে হারা আসন জেতার জন্য প্ল্যানিং করে। এতো দেখছি জেতা আসন হারাবার জন্য প্ল্যানিং হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

তৃণমূলের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কোনমতে জয়ী হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ,বর্তমানে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার পুরস্কার স্বরুপ সুকান্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছেন মোদী-শাহরা। বিজেপির নীতি ‘এক পদ এক ব্যক্তি’ অনুযায়ী বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সুকান্ত মজুমদারের সরে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। যদি তাই হয় তবে পরবর্তী রাজ্যসভাপতি কে হবেন? দিলীপবাবুর হাতে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব সঁপে দিতে চাইছেন নাতো দিল্লি নেতৃত্ব? ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’ তত্ত্বে শান দিতেই কী দিলীপ ঘোষ দলের আদি কর্মীদের ফের মাঠে নামানোর চেষ্টা করছেন? উঠছে সেই প্রশ্নও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#organizations, #West Bengal, #president, #bjp, #dilip ghosh

আরো দেখুন