মোদীর শাসনকালে ভারতে বাড়ছে সংখ্যালঘু নিগ্রহ! বিস্ফোরক মার্কিন বিদেশ সচিব
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মার্কিন সরকারের দাবি, ভারতে সংখ্যালঘু নিগ্রহ বাড়ছে। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ভারতে ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইনের অপব্যবহার, বিদ্বেষমূলক ভাষণ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির বাড়িঘর ও উপাসনাস্থল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা বেড়ে চলেছে। এসব ঘটনা খুবই উদ্বেগের। বিজেপি তথা মোদীর বিভাজনের রাজনীতি বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী শিবিরের দলগুলি। ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আমেরিকার মন্তব্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিজেপির অস্বস্তি বাড়ল। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছে ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল। ভারতকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ বা বিশেষ উদ্বেগজনক রাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা।
মার্কিন বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেন বুধবার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেন। রিপোর্ট প্রকাশের সময় ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা করে উদ্বেগ জানান তিনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে মোদী সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া বজায় রাখবে আমেরিকা।’
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ১০টিতে ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইন রয়েছে। সংখ্যালঘুরা হিংসা-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের অভিযোগ, ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না সরকার। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের দাবি, ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইনে খ্রিস্টান ও মুসলিমদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, ধর্মীয় আচার পালন করা সত্ত্বেও ভুয়ো ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে সংখ্যালঘু মানুষকে জেলে ভরা হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের রিপোর্টে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মোদী বারবার জাতীয়স্তরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর পক্ষে সওয়াল করছেন। কিন্তু মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা এবং কিছু রাজ্য এহেন উদ্যোগের বিরোধিতাই করছে। ইউসিসি চালুর আড়ালে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।