রেকর্ড বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজধানী
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রেকর্ড বৃষ্টি দিল্লিতে। এই সময়েই ১৯৩৬ সালে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছিল দিল্লিতে। ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২৩৫.৫ মিলিমিটার। ৮৮ বছর পর আবার সেই একই পরিস্থিতির সাক্ষী হল রাজধানী। কার্যত ভেসে গিয়েছে গোটা শহর। সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শুধুমাত্র তুলনায় পিছনের সারিতে থাকা দিল্লির বিভিন্ন এলাকা নয়। জলবন্দি হয়ে পড়েছে অভিজাত ‘ল্যুটিয়েন্স’ দিল্লিও। নেতা-মন্ত্রীরা টুইট করেছেন। ছবি পোস্ট করেছেন। বিজেপি আপের বিরুদ্ধে, আপ গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছে। আর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ রুটিরুজি হারানোর চিন্তায় ফের আতঙ্কিত হয়েছেন।
কারণ প্রাক-মরশুমের প্রথম ভারী বৃষ্টিতেই দিল্লির জল-যন্ত্রণার যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে আবারও স্পষ্ট হয়েছে যে এক বছরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি কিছু। দিল্লির বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার হাল বিন্দুমাত্র ফেরেনি। আর সবটা মিলিয়েই আবারও ফিরে আসছে গত বছর যমুনার জল উপচে শহর ভাসিয়ে দেওয়ার স্মৃতি। ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট হচ্ছে লালকেল্লার পিছন দিকের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। ব্যবসা বন্ধের আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ছে রতন আলির। শুক্রবারই দিল্লির মৌসম ভবন (আইএমডি) পূর্বাভাস দিয়েছে, আজ, শনিবার এবং কাল, রবিবারও দিল্লিসহ গোটা উত্তর ভারতেই ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। একদিনের বৃষ্টিতেই যদি এই হাল হয়, তাহলে একটানা বৃষ্টিতে কী পরিস্থিতি হবে? আপাতত এ প্রশ্নই তুলছেন দিল্লির মানুষ। ‘ল্যুটিয়েন্স’ দিল্লিতে বৃষ্টিপাতের জেরে ভেসে গিয়েছে কংগ্রেস এমপি শশী থারুরের বাংলো, মন্ত্রী আতিশীর সরকারি বাসভবন।
ফিরোজশাহ রোড, জঙ্গপুরা, আইটিওর মতো বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় হাঁটু জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। দিল্লিজুড়ে তৈরি হয়েছে প্রবল যানজট। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধের কর্তব্যপথও যেভাবে জলমগ্ন হয়েছে, তাতে বিস্মিত দিল্লিবাসী। পরিস্থিতি এদিন এতটাই বেগতিক যে, দিল্লির কিছু অংশে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও নামতে হয়েছে। বসন্ত বিহারে দেওয়াল চাপা পড়ে তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। যানজট থেকে রেহাই পেতে এদিন মেট্রো রেলের উপর বেশি ভরসা করেছেন সাধারণ মানুষ। ফলে বিশেষ করে অফিস টাইমে দিল্লির সবক’টি মেট্রো রুটেই ছিল মাত্রাছাড়া ভিড়।