মোদীর এমার্জেন্সি অস্ত্রের বিরুদ্ধে ইন্দিরার হয়ে ব্যাটিং RJD সুপ্রিমো লালুপ্রসাদের

প্রায় এক দশক পর সংসদে শক্তিশালী বিরোধী পক্ষের উপস্থিতির টের পাওয়া যাচ্ছে আঠারোতম লোকসভার প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই

June 30, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রায় এক দশক পর সংসদে শক্তিশালী বিরোধী পক্ষের উপস্থিতির টের পাওয়া যাচ্ছে আঠারোতম লোকসভার প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই। বিরোধীরা সংবিধান হাতে নিয়ে সংসদে ঢুকছেন, শপথ নিচ্ছেন। এতে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপি তথা এনডিএ’র। বিরোধীদের সংবিধান অস্ত্রের জবাবে জরুরি অবস্থাকে পাল্টা হাতিয়ার করেছে বিজেপি।

অধিবেশনের শুরুতেই ইন্দিরা গান্ধীর আমল নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছে বিজেপি। জরুরি অবস্থার ৫০ বর্ষপূর্তিতে, ১৯৭৫ সালে দেশে জারি হওয়া জরুরি অবস্থা নিয়ে সরব হন মোদী। দ্বিতীয়বার দায়িত্ব গ্রহণ করেই লোকসভায় প্রসঙ্গটি আনেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জরুরি অবস্থাকে ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারময় পর্ব বলেও উল্লেখ করেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, বিরোধী জোটে ফাটল ধরাতেই বিজেপি এহেন রণকৌশল নিয়েছে। বিজেপির চালকে কিস্তিমাত করতে আসরে নামলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। লালুর পাল্টা জবাব, ইন্দিরা সরকার বিরোধীদের দেশদ্রোহী আখ্যা দেয়নি।

বিরোধীদের প্রতি মোদী সরকারের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। লালুপ্রসাদ বলেন, ইন্দিরা গান্ধী অনেক নেতাকে জেলবন্দি করেছিলেন, কিন্তু কখনও তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জয়প্রকাশ নারায়ণ যে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করেছিলেন, তিনি তার আহ্বায়ক ছিলেন। ১৫ মাসের বেশি সময় জেলবন্দি থেকেছেন। ১৯৭৫ ভারতের গণতন্ত্রের কলঙ্ক। কিন্তু ভুললে চলবে না ২০২৪ সালে কারা বিরোধীদের প্রাপ্য সামান্য সম্মানটুকুও দেয়নি?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen