লক্ষ্মীরাই তৃণমূলের ভোট-ভাণ্ডার, সংগঠনে জোয়ার আনতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘাসফুল শিবিরের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা ভোটের ফলাফলে রাজ্যজুড়ে ঘাসফুলের জয়জয়কার। বাংলার মানুষের বিপুল সমর্থন তৃণমূলের প্রতিই। যার নেপথ্যে রয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। তাই এবার দলীয় সংগঠনে বাংলার আরও ‘লক্ষ্মী’ দের আনতে পথে নামছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, আগামী পয়লা আগস্ট থেকে রাজ্যের সব ব্লক ও পুরসভা অঞ্চলে টানা একমাসব্যাপী কর্মসূচী নিয়েছে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বৈঠকী সাক্ষাৎ’।
সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরের প্রথম ২ সপ্তাহ সাংগঠনিক জেলায় ‘মুখোমুখি আমরা’ করবে কর্মিসভা করবে তৃণমূলের মহিলা কর্মী ও সদস্যরা। শনিবার তৃণমূল ভবনে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটি ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকে এই কর্মীসূচী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভানেত্রী ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সংগঠনের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ মালা রায়, প্রাক্তন দুই বিধায়ক স্মিতা বক্সি, মালা সাহা, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষসহ আরও অনেকে।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, বৈঠকে রাজ্যের নির্বাচন পরবর্তীতে সাংগঠনিক জেলাভিত্তিক রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বহু জেলায় মহিলা ভোট বাড়লেও কোচবিহার ছাড়া বাকি কোনও কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসেনি। দক্ষিণবঙ্গে আবার এমন অনেক কেন্দ্র আছে যেখানে তৃণমূল জিতলেও মহিলা ভোটারদের তেমন সমর্থন পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান যে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ মুখ্যমন্ত্রীর নানা কর্মসূচির টানে মহিলা ভোট বাড়লেও এবার তাদের সাংগঠনিক ছাতার তলে আনতে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হবে। প্রশ্ন-উত্তর শীর্ষক যে বিশেষ কর্মিসভা করা হবে সেখানে রাজ্য কমিটি থেকে সিনিয়র তৃণমূল মহিলা নেত্রী সকলেই উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও মালা রায় জানিয়েছেন, এবারের ২১ জুলাই অনেক বেশি সংখ্যায় মহিলা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসার জন্য আগামী ৩ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই প্রতিটি জেলায় মহিলাদের কর্মিসভার আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সাফল্যে অন্য দলের তুলনায় তৃণমূলের মহিলা সংগঠন অনেক বেশি জোরালো। তার উপর রাজ্যের ‘লক্ষ্মী’ দের দলে টেনে আরও জোয়ার আনতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।