বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতেই বাংলা নিয়ে ভোল বদল জাতীয় মহিলা কমিশনের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবারের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পরে পরেই বড়সড় ভোল বদল চোখে পড়ছে জাতীয় মহিলা কমিশনের কথায় ও কাজে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই কমিশনকেই কার্যত বিজেপির মহিলা কমিশন হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছিল। বাংলার বুকে পান থেকে চুন খসলেই সেই কমিশন দৌড়ে দৌড়ে চলে আসতো নাহয় টিম পাঠাতো। সেই সঙ্গে বাংলায় এসে তাঁরা রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিষেদ্গার চালাতো। কার্যত বিজেপির হয়ে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা চালাতো তাঁরা। অথচ এখন সেই কমিশনের সুরই গিয়েছে বদলে।
কোচবিহার জেলার মাথাভাঙার রুইডাঙা এলাকায় বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্যাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় সেই কমিশন জানাচ্ছে, ‘এখনই কোনও মূল্যায়নে যাচ্ছি না।’ মাথাভাঙার রুইডাঙা এলাকায় বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্যাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা নিয়ে চাপানউতর অব্যাহত। গতকাল অর্থাৎ শনিবার নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী তথা বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল। আর এদিন অর্থাৎ রবিবার তাঁর বাড়িতে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের এক সদস্যা। তিনি ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলার পরে সার্কিট হাউসে ফিরে যান।
জাতীয় মহিলা কমিশনের সেই সদস্যা বেলিনা কংবুপের দাবি, ‘এই ঘটনায় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে পারিবারিক গন্ডগোলের অভিযোগ। আমরা রাজনৈতিক কারণ দেখতে যাব না। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল, উনি এক জন মহিলা। তাঁর সম্মানহানির অভিযোগ উঠেছে। এখনই কোনও মূল্যায়নে যাচ্ছি না। নির্যাতিতার সঙ্গে আমাকে আরও কথা বলতে হবে। তাঁর পরিবারের সবাই বাংলায় কথা বলেন। আমি যতটুকু বুঝেছি, ওরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশকে আমি সেটা জানিয়েছি। ওদের সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।’ বেশ লক্ষ্যণীয় এই বার্তায় কিন্তু কোথাও তৃণমূল বিরোধিতা নেই। মমতা বিরোধিতা নেই। রাজ্য সরকারের প্রতি বিদ্বেষ নেই। এমনকি নেই কোনও রাজনৈতিক বার্তাও।
কয়েক দিন আগে মাঠে ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন রুইডাঙা এলাকাযর বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্যা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে গালিগালাজ করে মারধর করেন কয়েক জন মহিলা। এমনকি, তাঁকে বিবস্ত্র করেও পেটানো হয়। এ নিয়ে ঘোকসাডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পুলিশি তদন্ত চলছে।