দিওয়ালির মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে করোনা, দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সবরকমের ব্যবস্থাই নিচ্ছে সরকার ও প্রশাসন। তা সত্বেও প্রত্যেকদিন আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে এবার আশার কথা শোনালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। রবিবারই এই বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এদিন তিনি বলেন, ‘আশা করি আগামি ২ মাসের মধ্যে, অন্তত দিওয়ালির আগে উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে সংক্রমণ।’
এদিন অনন্তকুমার ফাউন্ডেশনের ওয়েবনাস সিরিজের উদ্বোধনে গিয়ে একথা বলেন হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. দেবীপ্রসাদ শেট্টি ও ড. সিএন মঞ্জনাথ এই বিষয়ে একমত হবেন যে, এই ভাইরাসও একসময় অন্যান্য মহামারীর মত স্তিমিত হয়ে যাবে।
কিন্তু তাঁর কথায়, এই ভাইরাস আমাদের অনেক শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে। আমাদের নতুন জীবনে অভ্যস্ত হতে হবে ও নিজেদের জীবনযাত্রার ব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভ্যাক্সিনের দৌড়ে আমরাও পিছিয়ে নেই। ভারতে ৭ থেকে ৮ টি ভ্যাক্সিন নিয়ে গবেষণা চলছে। তিনটি ক্ষেত্রে চলছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। বাকিদের প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। চলতি বছরের শেষে ভ্যাক্সিন মিলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জানান, ফেব্রুয়ারিতে মাত্র একটি ল্যাব ছিল আর এখন দেশ জুড়ে ১৫৮৩টি ল্যাব। এর মধ্যে ১০০০টি সরকারি ল্যাব। প্রত্যেকদিন দেশে ১০ লক্ষ টেস্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবারের হিসেব অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় ফের রেকর্ড হারে করোনা সংক্রমণ দেশে। আক্রান্ত হলেন ৭৮ হাজার ৭৬১ জন। যা কিনা এখন পর্যন্ত একদিনের হিসেবে সর্বাধিক। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৪৮ জনের।
নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৭৩৪। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩০২ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৩৪ জন। করোনার দাপটে দেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ হাজার ৪৯৮ জনের।
উল্লেখ্য করোনার এই দাপটের মধ্যেই গতকালই আনলক-৪ এর ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে দিল্লি মেট্রো খোলার আভাস মিলেছে। যদিও স্কুল কলেজ নিয়ে এখনও টালবাহনা চলছে।
চতুর্থ পর্যায়ের আনলক থেকে একাধিক পরিষেবা চালু হতে চলেছে দেশ জুড়ে। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে মেট্রো পরিষেবা। এছাড়াও বেশ কিছু পরিষেবা চালু হতে পারে।