খাদ্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ, মোদীর তৃতীয় দফাতেও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে?

মূল্যবৃদ্ধিতে আর বেড়ি পরাতে পারলেন না মোদী।

July 8, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মূল্যবৃদ্ধিতে আর বেড়ি পরাতে পারলেন না মোদী। তিনি ক্ষমতায় ফিরলেও জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ এল না। খাদ্যপণ্যের বাজারদরে নাজেহাল আম জনতা। টম্যাটোর দাম এই সময়টাতে কেজি প্রতি ৫০ টাকা থাকে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। কলকাতা, কানপুর, দিল্লি বা দেরাদুন, একই চিত্র সর্বত্র! খোদ মোদী সরকারের খাদ্যমন্ত্রকই এই তথ্য দিচ্ছে। কেন্দ্রের মতে, আলুর দাম হওয়া উচিত ৩০ টাকা কিলো। কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকায়। খাদ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, পেঁয়াজের দাম হওয়া উচিত ৪০ টাকা, কিন্তু বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকায়। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।

খাদ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, খুচরো বাজারে আটার আদর্শ মূল্য হওয়া উচিত ৩২ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকায়। চাল ৪০ টাকার জায়গায় কেজি প্রতি ৬২ টাকায় কিনতে হচ্ছে। খোলা বাজারে চায়ের আদর্শ মূল্য কেজিতে ২২০ টাকা। তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫৯ টাকায়। এক মাসেই এই আকাশছোঁয়া লাফ!

মোদী তৃতীয়বার ফিরতেই মূল্যবৃদ্ধির আগুনে পুড়ছে মানুষজন। সরকারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই বললেই চলে। খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের মন্তব্য, জোগানের অভাব। জোগান বাড়লে দাম কমে যাবে।কবে জোগান বাড়বে? তার কোনও দিশা দেখানো হয়নি। বর্ষা এসে গিয়েছে। বহু আনাজই পচনশীল! সেক্ষেত্রে মজুতের জন্যেও সমস্যা থেকে যাবে। আদৌ দাম কমবে, কিনা প্রশ্ন রয়েইছে। সরকারের যুক্তি, মানুষ আলু, টমেটো, পেঁয়াজ বেশি খাচ্ছে, তাই দাম বাড়ছে। বাজারে পর্যাপ্ত জোগান হলেই দাম কমবে। কিন্তু সরকারের আশ্বাস কতটা বিশ্বাসযোগ্য? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen