আমিষ বা নিরামিষ, খাবারের থালা ভরাতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বাজার করার পর বাড়ির হেঁসেলে রান্না হওয়া যে খাবার নিত্যদিন পাতে পরিবেশন করা হয়, তারই গড় খরচের আঁচ পেতে চেয়েছে ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ক্রিসিল। তাদের রিপোর্টে দেখা গেছে আমিষ হোক বা নিরামিষ, দুপুর বা রাতে খাবারের থালা ভরাতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের।
বাজারে গেলে এখন রীতিমতো নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আনাজের দাম এতটাই বেড়েছে যে, হাত দিলেই ছ্যাঁকা। এই চড়া মূল্যবৃদ্ধি প্রায় কল্পনার বাইরে ছিল সকলের। আলু, বেগুন, ঝিঙে, পটল, উচ্ছে ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির দাম প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে। আগে কোন গ্রীষ্মে দর এত চড়া ছিল তা মনে করতে পারছেন না কেউ। পাল্লা দিয়ে চড়ে রয়েছে ডিম, মাছ আর মুরগির মাংসের দামও। আমিষ ও নিরামিষ দু’টি খাবারের ক্ষেত্রেই মে মাসের তুলনায় আমজনতার খাইখরচ বেড়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতি মাসে এই তালিকা প্রকাশ করে থাকে ক্রেডিট রেটিং সংস্থাটি।
তারা হিসেব কষে দেখেছে, একজন নিরামিষাশীর এক থালা খাবারের জন্য গত জুনে খরচ হয়েছে গড়ে ২৯ টাকা ৪০ পয়সা। তার আগে মে মাসে সেই খরচের পরিমাণ ছিল ২৭ টাকা ৮০ পয়সা। ২০২৩ সালের জুনে এক প্লেট নিরামিশ খাবারের দাম ছিল ২৬ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরে খরচ বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ। এর পাশাপাশি এক প্লেট আমিষ খাবারের জন্য খরচ হচ্ছে ৫৮ টাকা। একমাস আগে, অর্থাৎ মে মাসে তা ছিল ৫৫ টাকা ৯০ পয়সা। যদিও গতবছর মে মাসে আমিষ খরচ আরও চার শতাংশ কম ছিল বলে জানিয়েছে ক্রিসিল। নিরামিষ থালির মেনু হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে রুটি, ভাত, আলু, টোম্যাটো ও পিঁয়াজের তরকারি, ডাল, দই ও স্যালাড। আমিষ থালির ক্ষেত্রে এই একই মেনুতে ডালের বদলে ব্রয়লার চিকেন যোগ করা হয়েছে।