নয়ডার কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণা চক্র, কোটি কোটি টাকা খুইয়েছেন কয়েকশো মানুষ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অনলাইনে ফোন নম্বর কিনে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা। কোটি কোটি টাকা খুইয়েছেন কয়েকশো মানুষ। নয়ডায় গজিয়ে ওঠা এমনই এক চক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিস। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ জনকে। তাদের মধ্যে ৯ জন মহিলা। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে সংশ্লিষ্ট ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
নয়ডার সেক্টর ৫১-র একটি বহুতলের চারতলায় ওই কল সেন্টারটি তৈরি হয়েছিল। চালাতেন বিমা সংস্থার দুই প্রাক্তন এজেন্ট। তাদের নাম আশিস ও জিতেন্দ্র। এই দু’জনই প্রতারণা চক্রের মাস্টারমাইন্ড। তদন্তকারীদের দাবি, কম সুদে ঋণ ও জীবন বিমায় বাড়তি টাকা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলত এই চক্র। অনলাইনে পাওয়া ফোন নম্বরে কল করে পলিসি বিক্রি এবং ঋণের ফাঁদে ফেলার জন্য ৯ জন মহিলাকে নিয়োগ করেছিল তারা। ভুয়ো আধারকার্ড ব্যবহার করে সিম তোলা হয়েছিল। সেগুলি দিয়েই ‘টার্গেট’কে ফোন করা হতো। যত বেশি মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা যেত, তত বেশি বেতন পেতেন ওই ভুয়ো কল সেন্টারের কর্মীরা।
এমনকী প্রতারণার টাকা জমা করার জন্যও একটি অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া’ করেছিল আশিস ও জিতেন্দ্র। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অ্যাকাউন্টটি অরবিন্দ নামের এক ব্যক্তির। বাড়ি কর্ণাটকে। অরবিন্দের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে প্রতারণার টাকা জমা হতো। এজন্য তাঁকে মাসে ১ হাজার টাকা করে দিত অভিযুক্ত। প্রতারণার অর্থ ওই অ্যাকাউন্টে জমা পড়া মাত্রই এটিএম থেকে তা তুলে নিত চক্রের মূল পান্ডারা। ভুয়ো কলসেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে একটি কালো রঙের ডায়েরির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই ডায়েরিতে প্রায় একবছর ধরে চলা প্রতারণা চক্রের কোটি কোটি টাকা লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।