রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মোদী সরকারের আনা আইনকে সামনে রেখেই CESC বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে

July 11, 2024 | 2 min read

CESC বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সম্প্রতি সিইএসসির বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে একরকম উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিদ্যুতের মাশুল কলকাতায় বাড়ানো হয়েছে আমি শুনলাম। আমাদের কাছে এই নিয়ে কোনও তথ্য নেই। তবে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের তরফ থেকে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি করা হয়নি।” কেন দাম বাড়ানো হল, তা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (অ্যাবেকা) বক্তব্য, যে আইনকে সামনে রেখে সিইএসসি খরচ বাড়িয়েছে, সেই আইন এনেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। এক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপির প্রতিবাদের কোনও নৈতিকতাই নেই, দাবি তাদের।

অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার পার্চেজ অ্যাডজাস্টমেন্ট সারচার্জ (এফপিপিএএস) শিরোনামে অতিরিক্ত টাকার বোঝা গ্রাহককে চাপাচ্ছে সিইএসসি। তাদের সেই সুযোগ করে দেওয়া হয় কেন্দ্রের ইলেকট্রিসিটি অ্যামেন্ডমেন্ট রুল ২০২২-কে সামনে রেখে। ৩০ জুনের নোটিসে সিইএসসি জানিয়েছে, বিলের উপর ৫.৭ শতাংশ হারে এই চার্জ ধার্য হবে। অথচ এখানে বিজেপি বলছে, দাম বাড়ানো চলবে না।

কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলার সজল ঘোষের নেতৃত্বে সিইএসসির খরচ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি। তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিয়ে সজলবাবুর জবাব, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইনই সর্বত্র কার্যকর হয়। আমাদের প্রশ্ন, সিএএসসি কেন ২০২২ সালের আইন ২০২৪ সালে কাজে লাগাল? লোকসভার ভোট মিটতেই কেন গ্রাহকের উপর কোপ পড়ল? গ্রাহকদের কেন বিষয়টি যথাযথভাবে জানানো হল না, প্রশ্ন তুলেছেন সজলবাবু। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার কেবলমাত্র একটি সংস্থাকেই বিদ্যুৎ সরবরাহের সুযোগ করে দিয়েছে। কেন একাধিক সংস্থাকে সেই সুযোগ দিয়ে প্রতিযোগিতার বাজার তৈরি হবে না, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এই বিষয়ে সিইএসসি’র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ বলেন, কেন্দ্র যে বিধি এনেছে, তাকে ইতিমধ্যেই দেশের ৩৬টি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা মান্যতা দিয়েছে। আমরাও তাকে মান্যতা দিতে বাধ্য।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Electricity Bill, #Modi Government, #electricity price hike, #CESC, #electricity

আরো দেখুন