বোলপুরে প্রাচীন কালী মূর্তি উদ্ধার, পুজো শুরু করেছেন স্থানীয়রা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সতীপীঠের জন্য বিখ্যাত বীরভূম জেলা। এই জেলাতেই রয়েছে বেশ কয়েকটি সতীপীঠ। আর এবার সেই বীরভূম জেলাতেই উদ্ধার পিতলের প্রাচীন কালী মূর্তি। যে ঘটনাকে করে রীতিমতো হইচই পড়ে গেল বীরভূমের বোলপুর নীচুপট্টি রথতলা এলাকায়। ইতিমধ্যেই মূর্তিতে ধূপধুনো দিয়ে পুজোও শুরু করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, নিশ্চয় ওই অঞ্চলে আগে কোনও কালী মন্দির ছিল। সেই মূর্তিই এদিন উদ্ধার হয়েছে।
বোলপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কালী বারোয়ারিতলা বা রথতলা সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রাচীন বাড়িটি রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কোনও এক বাসিন্দা বাড়িটির মালিক। স্থানীয় ব্যবসায়ী গোলকবিহারী চট্টরাজ সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বিড়ি তৈরির ব্যবসা করতেন। বাড়িটিতে মোট তিনটি ঘর ছিল। তার মধ্যে একটিতে গোলকবাবু ব্যবসার কাজ চালালেও বাকি দু’টি বন্ধই ছিল।
স্থানীয়দের অনুমান, বন্ধ ঘর দু’টির একটি ছিল কালীমন্দির। কিন্তু অলৌকিকতার তত্ত্বে ওই মন্দির খোলার কেউ সাহস করতেন না। গোলকবাবুও কখনও চেষ্টা করেননি, এমনটাই তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। এরপর কালের নিয়মে বাড়িটি ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়ে। সম্প্রতি, গোলকবাবুর নাতি রাজা চট্টরাজ সেখানে নির্মাণ কাজ করবেন বলে ওই পুরনো বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করেন। সেই কাজ চলার মধ্যেই বুধবার দুপুরে শ্রমিকরা ধাতব মূর্তির হাত দেখতে পান। এরপর কেউ আর ভয়ে মূর্তিতে হাত দিতে চাননি। পরে রামকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় নামের এক যুবক এসে মাটি খুঁড়ে মূর্তিটি উদ্ধার করেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই বহু কালীভক্ত সেখানে ভিড় জমান। এরপর মূর্তিটিকে গঙ্গাজলে স্নান করিয়ে সেই স্থানেই স্থাপন করে শুরু হয় পুজোপাঠ।