স্বামীর অ্যাকাউন্ট, ATM কার্ডে স্ত্রীরও অধিকার থাকা উচিত, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নারী অধিকার নিয়ে সরব সুপ্রিম কোর্ট। বুধবারই শীর্ষ আদালত ঐতিহাসিক রায় দিয়ে জানিয়েছে, বিবাহবিচ্ছিন্ন মুসলিম মহিলারাও খোরপোশের দাবিদার। একই দিনে আরও একটি রায়ে দেশের সমস্ত গৃহবধূর পাশে দাঁড়াল ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা।
সুপ্রিম কোর্ট একটি পর্যবেক্ষণে জানায়, বাড়ির মহিলাদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট এবং এটিএম কার্ড ব্যবহারের অধিকার থাকা উচিত। আদালত এদিন বলে, ‘গৃহবধূদের ভূমিকা ও আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এসেছে।’
তেলেঙ্গানার এক মুসলিম মহিলা বিবাহবিচ্ছেদের পর আবেদন জানিয়েছিলেন খোরপোশের। পারিবারিক আদালত তাঁর আর্জিতে সিলমোহর দেয়। এরপর তাঁর স্বামী মহম্মদ আবদুল সামাদ ওই নির্দেশকে তেলেঙ্গানার হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানান। সেখানে রায় বহাল থাকলে সামাদ দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। এদিন শীর্ষ আদালতও ফিরিয়ে দিল সামাদকে। এদিনের রায় ১৯৮৫ সালের শাহবানো মামলার স্মৃতিই উস্কে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেবারও শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ ধারা সব ধর্মের মহিলাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। একজন সক্ষম পুরুষ কোনওভাবেই তাঁর স্ত্রী, সন্তান বা বাবা-মায়ের দায় এড়াতে পারেন না। তাঁদের বঞ্চিত করতে পারেন না।
১৯৮৬ সালের মুসলিম মহিলা (বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অধিকার রক্ষা) আইনে অবশ্য খোরপোশের জন্য কিছু শর্ত রাখা হয়। কিন্তু এদিন আদালত বলেছে, ১৯৮৬ সালের ওই আইন ১২৫ অনুচ্ছেদের ধর্মনিরপেক্ষ ধারার ঊর্ধ্বে নয়। তাই বিবাহবিচ্ছেদের পর স্বামীর কাছে খোরপোশ চাইতে কোনও শর্ত পূরণ করতে হবে না মুসলিম মহিলাদের। এই প্রসঙ্গেই স্বামীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও এটিএম কার্ডেও স্ত্রীর অধিকার রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।