এখনও পঞ্চায়েত ভোটের কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ মেটায়নি কেন্দ্র?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা ভোট হয়ে গেছে কিন্তু ২০২৩ সালের জুলাইয়ে হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিপুল খরচ আজও মেটায়নি অমিত শাহের দপ্তর। প্রাপ্য টাকা না দিয়ে, এবার রাজ্যের কাছে খরচের হিসেব চেয়ে পাঠাল এনডিএ সরকার। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বক্তব্য, কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় বকেয়াই মেটানো যায়নি। ফলে কোনও পেমেন্ট ভাউচার নেই। তাই অডিট সম্ভব নয়। টাকা না-দিয়ে এখন রাজ্যের থেকে তথ্য তলব করছে কেন্দ্র। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, এটা টাকা না দেওয়ার নয়া ফন্দি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি আধাসেনা পাঠানো হয়। খরচ হয়েছিল ১৩৫ কোটি টাকা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের যাবতীয় খরচ মেটানো রাজ্যের দায়িত্ব। কিন্তু ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য প্রশ্ন তোলায় কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিল, তারা অতিরিক্ত আধাসেনার খরচ দেবে কি না। কেন্দ্র সম্মতি জানিয়েছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের কিছুদিন পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত খরচের হিসেব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠায় রাজ্য। রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে প্রশ্ন, পঞ্চায়েত ভোটে মোতায়েন হওয়া কেন্দ্রীয় বাহিনী বাবদ খরচের টাকা আদৌ কেন্দ্র দিতে চায় কি না, তা নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠছে। না-হলে এমন বোকা বোকা চিঠি কেউ দেয়?
কেন্দ্রকে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অন্দরেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে। খরচের অডিট ও ভাউচার চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ৯ জুলাই কেন্দ্র চিঠি পাঠিয়েছে বলে খবর। এবারের লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন বাবদ খরচ নিয়েও হিসেব-নিকেশ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লজিস্টিক খরচ পৌঁছে গিয়েছে ৮৫০ কোটি টাকায়। পূর্তদপ্তরের মাধ্যমে হওয়া কাজের খরচও যোগ হবে। তাও প্রায় ২৫০ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ভোট গণনার পরও ৪০০ কোম্পানি বাহিনী রেখে দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ৫২ কোটি খরচ হয়েছে।