বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব, জিরো আওয়ার রাখতেই হবে, সরব তৃণমূল
সংসদকে কোনওভাবেই মোদি-শাহ’র প্রাইভেট কোম্পানি হতে দেব না। আসন্ন বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব, জিরো আওয়ারের মতো বিষয় বাদ দেওয়ার মতো বিষয় সামনে আসতেই তোপ তৃণমূলের। তাদের দাবি, সোম থেকে শুক্র প্রতিদিন ১ ঘণ্টা প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখতেই হবে। জিরো আওয়ারে বলতে দিতে হবে জনস্বার্থের মতো ইস্যুতে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান রবিবার বলেন, ‘সংসদ শুধুমাত্র সরকারের বিল পাশের জায়গা নয়। দেশের স্বার্থে বিরোধীদের বক্তব্য শুনে সরকারকে জবাবদিহিও করতে হবে।’ ডেরেক আরও বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে যেভাবে প্রশ্নোত্তর পর্ব, জিরো আওয়ারের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ দিতে চাইছে বলে খবরে পড়ছি, তা কোনওভাবেই মেনে নেব না। সংসদ মোদি-শাহর প্রাইভেট কোম্পানি নয়।’ সাম্প্রতিক ইস্যুতে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব থেকে পালাতে চাইছে বলেই সরকার এই পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দিনকয়েক আগেই এনিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। দলের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠিও দিয়েছেন। সব মিলিয়ে সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশন উত্তপ্ত হতে চলেছে বলেই মত করা হচ্ছে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ রুখতে সংসদে এমপিদের বসার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধিতে যাতে কোনও গাফিলতি না হয়, তার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। ভিড় এড়াতে দু’টি শিফটে অধিবেশনের ব্যবস্থা হয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে বসতে হবে এমপিদের। তাঁদের মধ্যে থাকবে বিশেষ গ্লাসের বেড়াও। দূরত্ব বজায় রাখতে দর্শক গ্যালারিতেও বসানো হবে এমপিদের। অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ৭২ ঘণ্টা আগেই প্রত্যেক এমপিকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সভার মধ্যে লাগানো হচ্ছে বিরাট মাপের টিভি। ইতিমধ্যেই দুই কক্ষের প্রতি সারির আসন স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। শনি-রবিও সভা চলবে। নজিরবিহীন ব্যবস্থায় প্রায় ছ’ মাস পর ফের সংসদের অধিবেশন বসতে চলেছে।