খেলা বিভাগে ফিরে যান

কলকাতা লিগ ডার্বি: ১০-জনের ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে গেল মোহনবাগান

July 13, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বিতে কলকাতা লিগে আজ শনিবার মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। এদিন ইস্টবেঙ্গলের দুরন্ত খেলা স্মরণীয় করে রাখল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারাল লাল-হলুদ।

খেলার ৬৪ মিনিটের মাথায় দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তারা গোল করেছে ৫০ এবং ৬৪ মিনিটে। গোলদাতা পিভি বিষ্ণু ও জেসিনের। বিরতির পরে খেলা ধরে নিয়েছে লাল হলুদ ফুটবলাররা। রীতিমতো কাঁপছে মোহনবাগান ডিফেন্স। মোহনবাগানের হয়ে একেবারে শেষে ব্যবধান কমিয়েছেন সুহেল ভাট।
প্রথম গোলের ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম টাচটা দুর্দান্ত ছিল। তাতেই কেটে যায় মোহনবাগান ডিফেন্স। তারপরে বিষ্ণুর গোল করাটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল। কাঁপিয়ে দিলেন মোহনবাগানের জাল।
দ্বিতীয় গোলটি হয়েছে আমন ও জেসিনের সমঝোতার মাধ্যমে। গতকাল প্র্যাকটিসে দুইজনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের মধ্যে যে বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে, সেটি বোঝা গিয়েছে। তাঁদের খেলা দেখে মনে হয়েছে একে অপরের পরিপূরক।

ইস্টবেঙ্গলকে যতটা উজ্জ্বল লেগেছে, ততটাই খারাপ খেলেছে মোহনবাগান। তাদের রিজ়ার্ভ দল যে একেবারেই তৈরি নয়, সেটা বোঝা গিয়েছে তৃতীয় ম্যাচে এসেই। কলকাতা লিগে এখনও জয়ের মুখ দেখল না মোহনবাগান। অন্য দিকে, ইস্টবেঙ্গল টানা তিনটি ম্যাচ জিতল। কোচেদের মস্তিষ্কের লড়াইয়ে মোহনবাগানের ডেগি কার্ডোজ়োকে টেক্কা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের বিনো জর্জ।

আজ ম্যাচের রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেল। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে মোহনবাগানকে অ্যাডভান্টেজ না খেলিয়ে বাঁশি বাজিয়ে খেলা থামিয়ে দিলেন। আর জোসেফকে হলুদ কার্ড দেখালেন। দুটি হলুদ কার্ড। তাই লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হল জোসেফকে। ১০ জনে বাকি ম্যাচ খেলতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু শেষ হাসি হাসে লাল-হলুদ শিবির।

১৯৯৭ সালের ১৩ জুলাই। ফেডারেশন কাপের সেমি-ফাইনালে যুবভারতীতে লক্ষাধিক দর্শকের সামনে মুখোমুখি কলকাতার দুই প্রধান। অমল দত্তের ‘ডায়মন্ড’ সেদিন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন বাইচুং ভুটিয়া। ৪-১ গোলে জেতে পিকে ব্যানার্জির দল। দীর্ঘ ২৭ বছর পর সেই একই দিনে ডার্বিতে আজ ফের মোহনবাগাকে চূর্ণ করল ইস্টবেঙ্গল। তবে এবার ফেড কাপ নয়, ঘরোয়া লিগের ম্যাচ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#East Bengal, #Mohun Bagan

আরো দেখুন