তিথি মেনেই খোলা হল পুরীর রত্ন ভাণ্ডার, কী কী মিললো?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ, ১৪ জুলাই প্রায় চার দশক পর খুলল রত্নভান্ডারের দরজা। যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পুরীর রত্ন ভাণ্ডার উন্মুক্ত হল। রবিবার তিথি মেনে দুপুর ১টা বেজে ২৮ মিনিটে খোলা হল পুরীর রহস্যময়ী রত্ন ভাণ্ডার। ভাণ্ডারে কী কী রত্ন রয়েছে, তা এখনই জানা যাবে না। এখন রত্ন ভাণ্ডারের অন্দরের সংস্কারকার্য শুরু হবে। কাজ শুরুর আগেই সমস্ত মণিমাণিক্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ৬টি বড় সিন্দুক আনা হয়েছে। সেগুলিতে রাখা থাকবে রত্ন। পরে ধীরে ধীরে সোনাদানার পরিমাণ পরিমাপ করা হবে।
রত্ন ভাণ্ডার খোলার খবর সমাজ মাধ্যমে জানান ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। তিনি বলেন, ‘জয় জগন্নাথ। প্রভুর আশীর্বাদে আজ ৪৬ বছর পর খুলল রত্ন ভাণ্ডার। এটি অত্যন্ত শুভ উদ্যোগ।’
উল্লেখ্য, এর দরজা শেষবার ১৯৮৫ সালে খোলা হয়েছিল কিন্তু তখন শুধুমাত্র মেরামত করা হয়েছিল। রত্ন ভান্ডারে গুপ্তধনের হিসাব শেষবার নেওয়া হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। খোয়া গিয়েছিল চাবিও। আজ, রবিবার শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে থাকা ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে খোলা হল ভাণ্ডার। শুরু হবে ভাণ্ডার সংস্কারের কাজ। সেখানে একাধিক জায়গায় ফাটল রয়েছে, যা দিয়ে বৃষ্টির সময় জল চুঁইয়ে পড়ে। সেগুলি মেরামত করা হবে। ওডিশা হাইকোর্টের নির্দেশিকা মেনেই মন্দির প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করবে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ।
২০১৮ সালের এপ্রিলে মন্দির প্রশাসন রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের কক্ষটি খোলার চেষ্টা করেছিল, তারা চাবি খুঁজে পায়নি। হারিয়ে যাওয়া চাবি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ওড়িশার রাজনীতি। ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনেও বিষয়টি ইস্যু হয়ে ওঠে। ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ রথের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ভাণ্ডার খোলার নির্দেশ দেন। ৯ জুলাই অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১৪ জুলাই ভাণ্ডার খোলার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।