আমেরিকার রাষ্ট্রনেতাদের রক্তাক্ত হওয়ার ইতিহাস
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা ‘সমাদ্দারের চাবি’ গল্পে একটা আজব পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন ডঃ ম্যাট্রিক্সের একটি গবেষণা নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর দুই রাষ্ট্রপতি, যাঁরা আততায়ীর গুলিতে নিহত হন, লিঙ্কন এবং কেনেডি তাই চলে এসেছিল বাংলা গোয়েন্দা গল্পের পাতায়। পেনসিলভ্যানিয়ায় নির্বাচনী জনসভায় প্রাণঘাতী হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন প্রাণে। গুলি ছুঁয়ে গিয়েছে কান। রক্তাক্ত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছবি ফিরিয়ে আনছে আমেরিকার রাষ্ট্রনেতাদের রক্তাক্ত হওয়ার ইতিহাস। যদিও ট্রাম্প এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট নন, কিন্তু প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে ফের মসনদে ফেরার দৌড়ে তিনিই এগিয়ে। এর আগে আততায়ীর হানায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আব্রাহাম লিঙ্কন (ষোড়শ প্রেসিডেন্ট)
আমেরিকার ইতিহাসে আততায়ীর গুলিতে নিহত প্রথম প্রেসিডেন্ট। ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনের ফোর্ড থিয়েটারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় লিঙ্কনের।
জেমস গারফিল্ড
(২০তম প্রেসিডেন্ট) দায়িত্বগ্রহণের ৬ মাসের মধ্যেই ১৮৮১ সালের ২ জুলাই নিহত হন গারফিল্ড। ওয়াশিংটনের একটি স্টেশন থেকে নিউ ইংল্যান্ডের ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন তিনি।
উইলিয়াম ম্যাককিনলে (২৫তম প্রেসিডেন্ট)
১৯০১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের বাফেলো এলাকায় ভাষণ দেওয়ার পর উপস্থিত জনতার সঙ্গে করমর্দন করার সময় গুলিতে নিহত হন ম্যাককিনলে।
জন এফ কেনেডি (২৫তম প্রেসিডেন্ট)
১৯৬৩ সালের নভেম্বরে ডালাসে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন কেনেডি।
রবার্ট এফ কেনেডি (প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী)
আততায়ী হামলায় দাদা জনের মৃত্যু হওয়ার পাঁচ বছর পর লস অ্যাঞ্জেলিসের হোটেলে গুলিতে নিহত হন ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রবার্ট।
অনেকেই রয়েছেন যাঁরা হামলা সত্ত্বেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন৷
ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট
(৩২ তম প্রেসিডেন্ট)১৯৩৩ সালে মায়ামিতে একটি হুডখোলা গাড়ির উপর বক্তৃতা দেওয়া সময় রুজভেল্টকে নিশানা করে গুলি চালানো হয়। যদিও বরাতজোরে বেঁচে যান তিনি।
হ্যারি এস ট্রুম্যান (৩৩ তম প্রেসিডেন্ট)
১৯৫০ সালের নভেম্বরে হোয়াইট হাউসের অদূরে ব্লেয়ার হাউসে ঢুকে ট্রুম্যানকে হত্যার চেষ্টা করে দুই বন্দুকবাজ আততায়ী।
রোনাল্ড রেগান (৪০তম প্রেসিডেন্ট)
১৯৮১ সালের মার্চে ওয়াশিংটন ডিসিতে বক্তৃতা দিয়ে বেরনোর সময় ভিড়ের মধ্যে থেকে রেগানকে লক্ষ্য করে গুলি চললেও বেঁচে যান তিনি।
জর্জ বুশ (৪৩ তম প্রেসিডেন্ট)
২০০৫ সালে তিবলিসির র্যালিতে বুশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে এক হামলাকারী। ভাগ্যক্রমে বোমাটি ফাটেনি।
থিওডোর রুজভেল্ট (প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী)
১৯১২ সালে হামলার শিকার হন রুজভেল্ট। যদিও পকেটে ভাঁজ করে রাখা কাগজ ও ধাতব বাক্স থাকার কারণে গুলি তাঁর শরীরে ঢুকতে পারেনি।