চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট! চালকের গাফিলতিতে নয়, রেল পরিচালনার পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঠিক এক বছর আগের বাহানাগার স্মৃতি ফিরিয়ে দেয় শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। গত ১৭ জুন কাটিহার ডিভিশনের রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দাঁড়িয়েছিল ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ওই সময় পিছন থেকে ধাক্কা দেয় দ্রুত গতির একটি মালগাড়ি। উত্তরবঙ্গের সেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৫০ জন।
দুর্ঘটনা নিয়ে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি রিপোর্ট জানাল, মালগাড়ির চালকের ভুলে নয়, ট্রেন পরিচালনার পদ্ধতিগত কারণেই এই দুর্ঘটনা। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার (চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি) জনককুমার গর্গ রেল বোর্ডের কাছে প্রাথমিক যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তার ছত্রে ছত্রে এই ইঙ্গিত রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন, ট্রেন পরিচালন ব্যবস্থায় গলদ থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রেলের ‘অব্যবস্থা’র এই দিকটি ‘বেআব্রু’ করে প্রাথমিক ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ট্রেন চলাচল পরিচালনা করার মতো উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাব ছিল ট্রেনচালক, ট্রেন ম্যানেজার এবং স্টেশন মাস্টারের। মালগাড়ির চালক নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি ছুটিয়েছিলেন কি না, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। রিপোর্টও বলছে, মালগাড়ির চালককে দেওয়া কাগুজে অনুমতিপত্রে (মেমো) নির্দিষ্ট গতির কথা উল্লেখই করা হয়নি। এমনকি, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা খারাপ থাকলে যে পদ্ধতিতে ট্রেন চলানো উচিত, তা মানা হয়নি। এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট যে ফর্মে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয় চালক এবং ট্রেন ম্যানেজার (গার্ড)-দের, রাঙাপানির স্টেশন মাস্টার তা দেননি বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সঠিক নিয়ম না-জানার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে সুরক্ষা কমিশনার তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন।