মোদী-শাহের দল পরিচালনা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপি’র অন্দরে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা নির্বাচনের পর নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের দল পরিচালনার প্রক্রিয়া নিয়ে বিজেপি’র অন্দরেই সমালোচনা, আপত্তি এবং ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তার আঁচ মিলছে একের পর এক রাজ্যে হওয়া লোকসভা ভোটের রিভিউ বৈঠকে।
প্রতিটি বৈঠকেই পর্যবেক্ষক হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দু’জন করে প্রতিনিধি থাকছেন। তাঁদের সামনেই রাজ্যের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। নজর করা মতো বিষয় হল, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরাও ওইসব বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় কথা বলছেন। আর তাই বাংলায় কর্মিসভায় সুকান্ত মজুমদারের বিস্ফোরণও কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র অথবা গোয়া। প্রতিটি রাজ্যের এক বার্তা—এভাবে চলতে থাকলে এটাই বিজেপির শেষের শুরু। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব আতঙ্কিত।
সাম্প্রতিক রিভিউ বৈঠকে যোগী আদিত্যনাথ অতি আত্মবিশ্বাস এবং অন্তর্ঘাতকে দায়ী করে আদতে দিল্লির দিকেই আঙুল তুলেছেন। আর বিগত ৪৮ ঘণ্টায় তারই পাল্টা জবাব দিচ্ছে দিল্লির নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে তাদের ‘মুখপাত্র’ যোগী সরকারেরই উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। কর্মিসভায় নিজের সরকারকেই তাঁর আক্রমণ, ‘সংগঠনকে দায়ী করে কোনও রাজনৈতিক লক্ষ্য সিদ্ধ হবে না। দলকে কাছে টানতে হবে। দলের নেতা-কর্মীরা যাতে অপমানিত না হন, সেটা দেখতে হবে।’ অর্থাৎ নিশানায় কে? যোগী আদিত্যনাথ।
বিদ্রোহের আঁচ হিমাচলেও। মোদি-শাহকে ইঙ্গিত করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম কুমার ধুমলের আক্রমণ, ‘হিমাচল প্রদেশের নির্বাচিত কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য এত তাড়াা কীসের? আগে দলের শক্তি ছিলেন কর্মীরা। অটলজি, আদবানিজি সিদ্ধান্ত নিতেন কর্মীদের কথা শুনেই। এখন?’ ধুমলের আর একটা পরিচয় কী? তিনি বিজেপি এমপি অনুরাগ ঠাকুরের বাবা।