SSKM-NRS কে টেক্কা দিচ্ছে বর্ধমান ও বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতার নামী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিকে টেক্কা দিচ্ছে বর্ধমান এবং বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। গত ১০জুলাই এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৯৬৪ জন। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালে ৫৬২৯ ও বর্ধমানের ওপিডিতে ৪৭০৯জন রোগী দেখিয়েছেন। বর্ধমান ও বাঁকুড়ায় ওইদিন ই-প্রেসক্রিপশন ইস্যু হয়েছে যথাক্রমে ১১১৫ এবং ১২০২ টি। এভাবে প্রতিদিনই পারফরমেন্স রিপোর্ট তৈরি হয়। তাতে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ বা আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে পিছনে ফেলে দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের এই দু’টি প্রতিষ্ঠান।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি তাপস ঘোষ বলেন, প্রতিদিন স্বাস্থ্যদপ্তরে বিভিন্ন বিষয়ে রিপোর্ট পাঠানো হয়। কতগুলি ল্যাব টেস্ট হচ্ছে বা ই-প্রেসক্রিপশন কতজন রোগীকে দেওয়া হচ্ছে সেই রিপোর্ট স্বাস্থ্যদপ্তর জানতে চায়। সেসব কিছু পর্যালোচনা করে পারফরমেন্স রিপোর্ট তৈরি হয়। আমাদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বরাবরই তৃতীয় বা চতুর্থ স্থান অধিকার করে আসছে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আউটডোরে আগের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিউরো সার্জারির ওপিডি শুরু হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জেলার রোগীরা পরিষেবার জন্য আসছেন। চিকিৎসকদের দাবি, নিউরো সার্জারি শুরু হয়ে গেলে বাঙ্গুর হাসপাতালের চাপ অনেকটাই কমে যাবে। দক্ষিণবঙ্গের রোগীরা অনাময়ে চিকিৎসা করার সুযোগ পাবেন। চলতি বছরে এই পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেইমতো পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্বাস্থ্যদপ্তরে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা নিয়োগ হলেই পরিষেবা চালু করা হবে। এমএসভিপি বলেন, ধারাবাহিকভাবেই আমাদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তৃতীয় বা চতুর্থ স্থান দখল করে আসছে। আউটডোরে আসা পুরনো এবং নতুন রোগীর সংখ্যা কত সেটাও সমীক্ষায় বিচার করা হয়। আমাদের আউটডোরে প্রতিদিন নতুন রোগীর সংখ্যাই বেশি থাকে। ভর্তি থাকা রোগীদের ছুটি দেওয়ার সময় সমস্ত নিয়মকানুন মানা হচ্ছে কিনা সেটা আধিকারিকরা দেখেন। সবকিছুর নিয়ম মেনে হওয়ার জন্যই আমাদের হাসপাতাল ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রাখতে পেরেছে।