নড়ে গেছে ভিত! উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিস্ফোরক রিপোর্ট মোদী-শাহের হাতে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। রামমন্দির ইস্যুই হয়ে উঠতে পারেনি রামরাজ্যে। মোদীর বারাণসী সংলগ্ন পূর্ব উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ফল সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। মোদীর ব্যবধান কমেছে। মথুরা ও অযোধ্যা-লখনউ অংশেও একই হাল। কাশী ও ব্রজে ২৮ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৮টি। উত্তরপ্রদেশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র চৌধুরী বুধবার রিপোর্ট পেশ করেছেন নরেন্দ্র মোদীর কাছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিজেপির থেকে সরে গিয়েছে দলিত ভোটব্যাঙ্ক। এক ধাক্কায় ৮ শতাংশ ভোট শেয়ার কমেছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, অবধ অঞ্চল এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, সর্বত্র দলের ভোটব্যাঙ্ক নিম্নমুখী। গোটা রাজ্যের সর্বত্র সমর্থন কমছে।
কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে দলীয় সংগঠনের সমন্বয় তলানিতে। তাতেই বিপর্যয়। মোদী এবং শাহকে দেওয়া রিপোর্টে ১৫টি গুরুতর কারণকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রিপোর্টে সাফ বলা হয়েছে, দলিত ভোটব্যাঙ্ক ক্রমেই আস্থা হারাচ্ছে বিজেপির উপর। মায়াবতীর দলের ভোট কমেছে, সেই সিংহভাগ ভোট ইন্ডিয়া জোটের দিকে গিয়েছে। বিজেপির কাছে যে দলিত ভোট ছিল, তাও সরে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে দল বনাম সরকার, সম্পূর্ণ দুই ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছে বিজেপি। একদিকে যোগী আদিত্যনাথ এবং কিছু বিধায়ক; যাদের সিংহভাগ ঠাকুর। অন্যদিকে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের বিধায়কদল। যাদের সঙ্গে উচ্চবর্ণের একাংশ আছে।ঠাকুর সম্প্রদায়ের বাড়বাড়ন্তে ব্রাহ্মণরা যোগী আদিত্যনাথের উপর ক্ষিপ্ত।
সূত্রের খবর, আগামী ১০ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনের পরই উত্তরপ্রদেশে বিজেপি এবং সরকারে রদবদল হবে। আসন্ন উপ নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে যোগীর ভাগ্য। আবার বিজেপি সভাপতি ভূপেন্দ্র চৌধুরীও সরে যেতে পারেন। ২০২৭ সালের আগেই কি যোগী সরকার পড়ে যাবে? দিল্লি ও লখনউতে বৈঠকের পর বৈঠক চলছে। বিরোধীরা একেবারে নিশ্চিত যোগী সরকারের পতন আসন্ন।
উত্তরপ্রদেশে বিরোধী মুখ অখিলেশ যাদব। তিনি আক্রমণ বাড়িয়ে চলেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, বর্ষাকালীন অফার এসেছে। একশো আনুন সরকার গডুন। অখিলেশ বিজেপির যোগী বিরোধী অংশকে বিদ্রোহ করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। এতকাল প্রতিপক্ষের দল ভাঙতে অপারেশন লোটাস করে এসেছে বিজেপি। এবার সেই অস্ত্রেই কি পাল্টা ঘায়েল হবে তারা?