২১ জুলাইয়ে রেকর্ড ভিড়ের সম্ভাবনা, কেমন হচ্ছে এবারের মঞ্চ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পাঁচ বছর পর ২১ জুলাই রবিবার। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ ছুটি থাকবে। শহর কলকাতায় প্রতি দিন কর্মসূত্রে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন, তাঁদের অধিকাংশই আসবেন না। যা ট্র্যাফিক ব্যবস্থা মসৃণ রাখার জন্য পুলিশের কাছে সুবিধাজনক। তবে লোকসভা ভোটে জয় এবং তার পর চার বিধানসভার উপনির্বাচনেও বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। ফলে এ বারের ২১ জুলাই গ্রামবাংলার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের কাছে বিজয়োৎসব। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, এ বার রেকর্ড ভিড় হবে। শুক্রবার থেকেই সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা আসতে শুরু করেছেন। তা ছাড়াও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, আলিপুরের উত্তীর্ণে দূরবর্তী জেলার কর্মী-সমর্থকদের রাখার ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল।
শুক্রবার ভিক্টোরিয়া হাউজ়ের কাছে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ পরিদর্শনে এসেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ পুলিশের পদস্থ কর্তারা। শুধু মঞ্চই নয়, আশপাশের চত্বরও ঘুরে দেখেন পুলিশ কর্তারা। মূলত ভিআইপিদের বসার জায়গা, সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের ভিড় কোথায় থাকবে সেই সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন কলকাতার নগরপাল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এবার একুশের মঞ্চ আরও শক্তপোক্ত করা হয়েছে। ব্যাকড্রপ অনেকটা মোটা করা হচ্ছে। ৪০ ফুট বাই ৩০ ফুট। সাধারণত এই ব্যাকড্রপ পাতলাই থাকে। এবারই তা এতটা বাড়ানো হচ্ছে ঝড়বৃষ্টির কথা ভেবে। এছাড়া মূল মঞ্চ আরও চওড়া করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ১৩ জায়ান্ট স্ক্রিন থাকছে৷ প্রায় ৪০০০ স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন গোটা আয়োজনে।
মঞ্চের প্রথম ভাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা বসবেন। বাকি দুটি মঞ্চে থাকবেন সাংসদ, বিধায়করা। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আলাদা র্যা ম্প ও মন্ত্রীদের জন্য পৃথক র্যাাম্প তৈরি হচ্ছে বলে খবর। সবমিলিয়ে, এবারের একুশের মঞ্চের নকশায় বেশ কিছু বদল দেখা যাবে। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যেও বেশ কিছু চমক থাকার সম্ভাবনা।