দেশে চালু হচ্ছে ডিজিটাল পিন কোড, ১৬ বর্গ মিটার অন্তর লেখা হবে নতুন ‘ঠিকানা’
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র আওতায় দেশজুড়ে চালু হয়েছে অনলাইন পরিষেবা সংক্রান্ত হরেক প্রকল্প। তারই নয়া অবতার এই ‘ডিজিটাল’ ঠিকানা। সেখানে থাকবে না কোনও গৃহকর্তা, অফিস কাছারি বা প্রতিষ্ঠানের নাম। নতুন এই প্রকল্পে চার মিটার দৈর্ঘ্য ও চার মিটার প্রস্থের নিরিখে টুকরো করা হবে গোটা দেশ, এমনকী সমুদ্র বা জলসীমান্তকেও। অর্থাৎ প্রতিটি টুকরোর আয়তন দাঁড়াবে ১৬ বর্গ মিটার। এমন লক্ষ লক্ষ চৌকো ছোট এলাকাকে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ অনুযায়ী আলাদা আলাদা কোডে চিহ্নিত করা হবে।
আপাতত ওই আলফা-নিউমেরিক কোডগুলি হবে ১০ অঙ্কের। তাতে সংখ্যা এবং ইংরেজি অক্ষর দুই-ই থাকবে। সেগুলিই হবে সাধারণ মানুষের ডিজিটাল ঠিকানা, যার পোশাকি নাম ‘ডিজিপিন’। বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে যা চিহ্নিত করা যাবে। তবে এই নয়া প্রকল্প চালু করার আগে রাজ্য সরকারগুলির মতামত চাইবে কেন্দ্র। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেও নেওয়া হবে পরামর্শ।
কিন্তু কেন এই নয়া ‘ঠিকানা’ চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার? তাদের সাফ বক্তব্য, গোটা দেশকে এভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরোয় ভাগ করা গেলে, যে কোনও এলাকাকে চিহ্নিত করা সহজ হবে। শুধু অনলাইন নয়, অফলাইনেও ব্যবহার করা যাবে এই ‘ডিজিপিন’। যে এলাকায় বহু মানুষের বাস, অর্থাৎ জনঘনত্ব বেশি, সেখানকার বসবাসকারীদের আরও নির্ভুলভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। তাতে একদিকে যেমন পার্সেল, ই-কমার্সের মতো ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের সুবিধা, তেমনই কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় নিঁখুতভাবে এলাকাটিকে চিহ্নিত করাও সম্ভব। এমনকী পাহাড়, সমুদ্র, নদী বা দুর্গম অঞ্চলের কোনও নির্দিষ্ট ক্ষুদ্র জায়গাকেও সহজে খুঁজে বের করতে পারবেন আধিকারিকরা। কোনও ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থাকবে না ডিজিপিনে। ফলে কারও তথ্য বা ডেটা হ্যাক বা ফাঁস হয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।