হরপ্পার নাম ভ্যানিস! ‘মধ্যরেখা’র আমদানি, নয়া পাঠ্যপুস্তকে গেরুয়াকরণের অভিযোগ NCERT-র বিরুদ্ধে
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: সিলেবাসের বদল থেকে সূচিতে নয়া গল্প, প্রবন্ধের আমদানি; শিক্ষায় বারবার গেরুয়াকরণের অভিযোগ উঠেছে মোদী আমলে। এবার মধ্যেরেখার আমদানি করা হল এনসিইআরটির প্রকাশ করা ষষ্ঠ শ্রেণির সোশ্যাল সায়েন্সের বইতে। তাতে দাবি করা হয়েছে, গ্রিনিচ মিন টাইম বা মূল মধ্যরেখা ব্যবস্থা হালে চালু হয়েছে। তার বহু আগে থেকে প্রাচীন ভারতে নিজস্ব মূল মধ্যরেখা ব্যবস্থা চালু ছিল। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী শহরের উপর দিয়ে নাকি টানা হয়েছিল সেই কল্পিত রেখা।
সম্প্রতি নয়া পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বই প্রকাশিত হয়েছে। নয়া বইতে ভারতে বর্ণভেদ প্রথা জায়গা পায়নি। জাতিভেদ নিয়ে বাবাসাহেব আম্বেদকরের অভিজ্ঞতার অংশও বাদ পড়েছে। নতুন বইয়ে হরপ্পা সভ্যতার নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। ‘সিন্ধু-সরস্বতী’ সভ্যতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমলে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ বারেবারেই উঠেছে। এনসিইআরটির বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের মনপসন্দ বিষয়কে বইতে স্থান দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। ক্ষুব্ধ দেশের শিক্ষামহল।
এনসিইআরটি’র বইয়ে বলা হয়েছে, গ্রিনিচ মধ্যরেখা বিশ্বের প্রথম মূল মধ্যরেখা নয়। কয়েকশো বছর আগে ভারতে এই ব্যবস্থা চালু ছিল। প্রাচীন উজ্জ্বয়িনী ছিল জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার অন্যতম কেন্দ্র। প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ সম্পর্কে জানতেন। ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের বইয়েও মধ্যরেখাকে ধরে বিভিন্ন হিসেব করা হয়েছে।
বেদের বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিতভাবে থাকলেও বর্ণভেদ প্রথার কথা উল্লেখ করা হয়নি। বেদে বিভিন্ন পেশার মানুষের কথা বলা হয়েছে। মৌর্য্য সাম্রাজ্য, রাজা অশোক, অর্থশাস্ত্রের মতো বিভিন্ন বিষয় বাদ পড়েছে। নয়া বইয়ের ভূমিকায় এনসিইআরটির ডিরেক্টর দীনেশ সাকলানি জানিয়েছেন, বৃহত্তর ধারণায় নজর দেওয়ার জন্য পাঠ্যবস্তু যথাসম্ভব কম রাখা হয়েছে। ইতিহাস, ভূগোল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতির বিভিন্ন অংশ একত্রিত করা হয়েছে। সিবিএসই বোর্ড এনসিইআরটির পাঠ্যক্রম মেনে চলে।