‘কাফিল খানের গ্রেপ্তারি বেআইনি’, মুক্তির নির্দেশ এলাহাবাদ হাই কোর্টের

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের বক্তৃতা দেওয়ার জেরেই তাঁর উপর জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়।

September 1, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

জননিরাপত্তা আইনে উত্তরপ্রদেশের বিতর্কিত চিকিৎসক ডাঃ কাফিল খানের (Kafeel Khan) গ্রেপ্তারি অনৈতিক। তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক। নির্দেশ এলাহাবাদ হাই কোর্টের। যার ফলে নৈতিক দিক থেকে বড়সড় ধাক্কা খেল উত্তরপ্রদেশ সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর বিআরডি হাসপাতালে একদিনে অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ গিয়েছিল ৬০ শিশুর। ক্ষমতায় আসার চার মাসের মাথায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাফিল খানকে। কিছুদিন বাদে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ন’মাসের জন্য জেল হেফাজতেও পাঠায় প্রশাসন। যদিও পরে কাফিলের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কাফিলের পালটা দাবি ছিল, প্রশাসনিক স্তরে দুর্নীতিকে আড়াল করতেই তাঁকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারপর থেকেই লাগাতার উত্তরপ্রদেশ তথা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে আসছেন কাফিল। কেন্দ্র সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করালে, এর প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই চিকিৎসক। একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে CAA’র বিরুদ্ধে ভাষণ দিতে শোনা যায় তাঁকে। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের বক্তৃতা দেওয়ার জেরেই তাঁর উপর জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়। গত ২৯ জানুয়ারি মুম্বই থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন থেকেই জেলে বন্দি তিনি।

সদ্যই কাফিলের জেলবন্দি থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশ সরকারের সুপারিশ মেনে রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল নির্দেশ দিয়েছিলেন, চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে কাফিলকে। কিন্তু যোগী সরকারের সেই নির্দেশ বাতিল করে দিল হাই কোর্ট। আদালত সাফ জানিয়ে দিল কাফিলের বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইন প্রয়োগ বেআইনি। এবং তা প্রত্যাহার করতে হবে। এলাহাবাদ হাই কোর্টের ফলে প্রায় সাড়ে ৭ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বিতর্কিত এই চিকিৎসক।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen