কত বরাদ্দ হল রেলে? পিঙ্ক বুকের প্রকাশের কালবিলম্ব নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশের একের পর এক রেল দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা, কবচ সুরক্ষায় ঢিলেমি, পরিকাঠামো, কর্মীর অভাব ইত্যাদি অভিযোগে বিদ্ধ রেল। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মাত্র একবার রেল শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তাও শরিক দলের রাজ্যকে পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে রেল শব্দটি শুনেছিল সেদিনের সংসদভবন। বিরোধীরা সরব হয়েছেন, আম জনতারাও ক্ষুব্ধ! যদিও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি, এবার রেলকে রেকর্ড ২ লক্ষ ৬২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
সত্যিই কি? বাজেট পেশের প্রায় সপ্তাহ গড়াতে চলল, এখনও রেলের ‘পিঙ্ক বুক’ কেন প্রকাশ করা হল না? কালবিলম্বের কারণ কী? বাংলা সহ অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বঞ্চনার দাবি কি সঠিক? বঞ্চনা ঢাকতেই ‘পিঙ্ক বুক’ প্রকাশে এহেন ঢিলেমি?
২৩ জুলাই সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। রবিবার সন্ধ্যা অবধি রেলমন্ত্রক, রেলের জোনভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প সংবলিত ‘পিঙ্ক বুক’ প্রকাশ করেনি। শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, রেকর্ড বরাদ্দ কি কেবল ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ?
উল্লেখ্য, রেলের কোন প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তা ‘পিঙ্ক বুক’ থেকেই জানা যায়। জোনভিত্তিক বরাদ্দের খতিয়ান দেওয়া হয়। বোঝা যায়, কোন রাজ্যে রেল প্রকল্পে কত বরাদ্দ হয়েছে। জোনের বরাদ্দকৃত অর্থের হিসেবেই স্পষ্ট হয়, কোনও রাজ্যের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়েছে না-কি।
ফেব্রুয়ারিতে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছিল মোদী সরকার, তাতে বাংলার একাধিক রেল প্রকল্পে এক হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল! ‘পিঙ্ক বুকে’ই তার উল্লেখ আছে। রেলমন্ত্রী দাবি করেছেন, এবার বাংলার বিভিন্ন রেল প্রকল্পে রেকর্ড ১৩ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দের প্রতিফলন কোথায়? ২৪ জুলাই রেলের ডিমান্ডস ফর গ্রান্টস সংসদে পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু ‘পিঙ্ক বুক’ প্রকাশ না করায় প্রশ্ন উঠছে। কারণ, আসল তথ্য মিলবে ‘পিঙ্ক বুক’ থেকেই!