৮৭টি ভয়ঙ্কর বাঘকে খাঁচাবন্দি করেছেন আমিরচাঁদ, আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবসে তাঁকে সম্মান জানাল বনদপ্তর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সুন্দরবনের যে কোনও গ্রামে বাঘ ঢুকে পড়লেই ডাক পড়ত কুলতলির দক্ষিণ দুর্গাপুরের বাসিন্দা আমিরচাঁদের। বনদপ্তরের কর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধা করে ছোটবাবু বলেন। ২৬ ফুট লম্বা খেজুর গাছে উঠে পড়েছিল বাঘ। সেটিকে কাবু করেছিলেন। তাছাড়া তাল গাছে উঠে ঘাপটি মেরে থাকা, গোয়াল ঘরে লুকিয়ে পড়া, লাফ দিয়ে মানুষ শিকার করতে উদ্যত বাঘকেও কাবু করেছিলেন আমিরচাঁদ।
এই করতে করতে ৬০ বছর বয়স হয়ে গেল। হাতে গুনে বলে দিতে পারেন, কর্মজীবনে ৮৭টি ভয়ঙ্কর বাঘকে খাঁচাবন্দি করেছেন। শুধু কি তাই! দুর্দান্ত জলদস্যুদের ধরিয়ে দিয়েছেন। চোরাশিকারিরা হরিণ মেরে চামড়া বিক্রি করত। সেরকম ১৭টি দুমূল্য মৃগচর্ম উদ্ধার করেছেন। প্রৌঢ় আমিরচাঁদ মানুষ বাঁচাতে অনেককিছুই করেছেন নিজের জীবন বাজি রেখে। সেই অসাধারণ ও চমকপ্রদ কাজগুলির জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করল বনদপ্তরের দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভাগ।
১৯৮৪ সালে ধনচি ক্যাম্পে অস্থায়ী বনকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৭ সালের ২২ জানুয়ারি সরকারিভাবে প্রথম বোটম্যান হিসেবে কুলতলি বিটে যোগ দেন। বোটম্যান থেকে ক্রমে বনরক্ষীতে পদোন্নতি। জলদস্যুদের কবল থেকে গ্রামবাসীদের রক্ষা করার জন্য প্রাক্তন বনমন্ত্রী যোগেশ বর্মন তাঁকে পুরস্কৃত করেছিলেন। বাঘকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে ঘায়েল করার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন আমিরচাঁদ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘আমিরবাবুর কাজ দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হয়।’