রাজ্যগুলির সাথে আলোচনা করে ১০০ টি স্পেশ্যাল ট্রেন চালুর ভাবনা কেন্দ্রের
এই মুহূর্তে সারা দেশে ২৩০টি যাত্রীবাহী স্পেশ্যাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল মন্ত্রক, তাও মাত্র ৭৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে! যে কারণে বিপুল ক্ষতির মুখেও পড়তে হচ্ছে রেলকে। সেইসঙ্গে যাত্রীদেরও বিপুল সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। একইসঙ্গে দেশজুড়ে মঙ্গলবার থেকেই চালু হল আনলক-৪। তাই এই মুহূর্তে লোকাল বা প্যাসেঞ্জার ট্রেন স্বাভাবিকভাবে চালু না হলেও স্পেশ্যাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে রেল। সেই সূত্রেই দেশজুড়ে আরও ১০০টি মতো স্পেশ্যাল ট্রেন চালু করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রেল মন্ত্রক।
আর এই ১০০ টি স্পেশ্যাল ট্রেনের মধ্যে রয়েছে হাওড়া-তিরুচিরাপল্লী ও হাওড়া-ইন্দোর স্পেশ্যাল ট্রেনও। ইতোমধ্যে নতুন স্পেশ্যাল ট্রেনের বিষয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেনগুলি চলবে বিভিন্ন রাজ্য থেকে রাজ্যে ও রাজ্যের ভিতরে। উল্লেখ্য, ১ মে থেকে শ্রমিক এক্সপ্রেস চালু করেছিল রেল। রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শ করেই সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শুরু হয়েছিল ওই ট্রেন চলাচল। দেশে এখনও ২৩০টি ট্রেন চালানো হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। তাই আপাতত ১০০টি আরও স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হতে পারে। এরপর ধীরেধীরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা-পরিস্থিতিতে প্রায় বন্ধ ট্রেন চলাচলের জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতীয় রেল। শুধু যাত্রী পরিবহণ খাতেই ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিপুল রাজস্ব হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব নিজেই এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে সব ক’টি রেলওয়ে জোনে পাঠানো রেলবোর্ডের চিঠিতেও দুর্যোগের কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে মেট্রো চলাচল শুরু হলেও বাংলায় তা শুরু হচ্ছে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে। ৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন রয়েছে। ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। প্রতি কোচে সীমিত সংখ্যক যাত্রী, টোকেনে নিষেধাজ্ঞা, বাধ্যতামূলক স্মার্ট কার্ড-সহ বিভিন্ন নিয়ম চালু করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মেট্রোর এয়ার কন্ডিশন সিস্টেমও ঢেলে সাজানো হবে, যাতে কোচের ভেতরে তাজা বাতাসই ঘোরাফেরা করতে পারে।
অপরদিকে জানা গিয়েছে, লকডাউন পরবর্তী রেলের সময়সারণিতে বড়সড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। রেলের আগের টাইম টেবিলের সঙ্গে এই নতুন সময়সূচির বিশাল ফারাক থাকবে বলে রেলসূত্রে জানা গিয়েছে। ট্রেনে গতি আনতে বহু স্টেশন ও স্টপেজ তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।