দেশ বিভাগে ফিরে যান

ঐতিহাসিক রায়! এসসি-এসটি কোটার মধ্যেও প্রান্তিকদের জন্য পৃথক সংরক্ষণে ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট

August 2, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার এক ঐতিহাসিক রায়ে এসসি-এসটি কোটার মধ্যেও প্রান্তিকদের জন্য পৃথক সংরক্ষণে ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারের।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, ‘‘উপশ্রেণি চিহ্নিতকরণের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সমতার নীতি লঙ্ঘন করছে না।’’ তবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায়ের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছয়নি। ছ’জন বিচারপতি তফসিলি জাতি-জনজাতিদের মধ্যে ‘অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে’ চিহ্নিত করে ‘কোটার মধ্যে কোটা’র সুবিধা দেওয়ায় ছাড়পত্র দিলেও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন।

২০০৫ সালে শীর্ষ আদালত এক রায়ে বলেছিল, ‘‘তফসিলি জাতি-জনজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের এক্তিয়ার কোনও রাজ্যের সরকারের নেই।’’ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও এসসি-এসটিদের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

এদিন রায়দানের সময় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের পর্যবেক্ষণ, ‘সাব-ক্লাসিফিকেশন’-এর ক্ষেত্রে সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় কোনও বাধা নেই। পদ্ধতি ও পরিস্থিতিগত বৈষম্যের কারণে এসসি-এসটিদের মধ্যেও সবাই মই বেয়ে উপরে উঠতে পারেন না। বৈষম্য বোঝাতে উদাহরণও টেনেছেন সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি বি আর গাভাই। তাঁর বক্তব্য, ‘যে সেন্ট পল’স হাই স্কুল ও সেন্ট স্টিফেন’স কলেজে পড়ছে, তার সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার ছোট্ট গ্রামে পড়াশোনা করা শিশুকে এক বন্ধনীতে ফেলা যায় না। এটা সংবিধানের সাম্যের নীতিকে প্রতিফলিত করে না। আর একথা বলতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।’ এসসি-এসটিদের মধ্যে যাঁরা ইতিমধ্যেই উন্নতির শিখরে, সেই ‘ক্রিমি লেয়ার’কে শনাক্ত করে সংরক্ষণের আওতা থেকে বাদ দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#ST Quota, #supreme court, #Supreme Court of India, #SC

আরো দেখুন