বিপর্যয় মোকাবিলা বিল নিয়ে আপত্তি বিরোধীদের, রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কেরলের ওয়ানড়ে ভয়ংকর ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছুঁইছুঁই। অতিবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি, মুম্বই-সহ একাধিক শহর। কেদারনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে আটকে বহু পর্যটক। শিমলাতেও শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ। ওয়ানড়ের ঘটনা বাদ দিলে প্রকৃতির রুদ্ররোষে ৭ রাজ্যে মৃত অন্তত ৩২। এই পরিস্থিতিতে সংসদে বিপর্যয় মোকাবিলা সংশোধনী বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। বিলটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পেশ করার কথা থাকলেও তিনি এদিন লোকসভায় ছিলেন না।
বৃহস্পতিবার বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত এক সংশোধনী বিল ইস্যুতে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে লোকসভায় সরব হল কংগ্রেস, তৃণমূল। সরকার ‘দ্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (সংশোধনী) বিল ২০২৪’ পেশ করতেই আপত্তি করেন কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি এবং তৃণমূলের সৌগত রায়।
তাঁদের আপত্তি, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৪৬ সঠিকভাবে মানছে না কেন্দ্রীয় সরকার। সোশ্যাল সিকিওরিটি আর সোশ্যাল ইনস্যুওরেন্সের নামে বিপর্যয় ইস্যুতে রাজ্য তথা পুরসভার অধিকারের হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রের পক্ষে বিরোধীদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
মূল আইনটি ২০০৫ সালের। কিন্তু সেই আইনে কিছু বিষয় স্পষ্ট নেই। কাজের ভাগ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তাই নতুন অথরিটি তৈরি করে কাজের ভাগ স্পষ্ট করার জন্যই আইনের সংশোধন প্রয়োজন বলেই দাবি কেন্দ্রের। কিন্তু নতুন অথরিটি তৈরি হলে আরও বেশি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি হবে বলেই সৌগতবাবুর দাবি। তাই বিল পেশ আটকাতে তিনি বলেন, একেই বিপর্যয়ের সময় কে কোন সময়ে উদ্ধারকার্যে নামবে, দায়িত্ব কার ইত্যাদি নিয়ে জটিলতা আছেই। কেরলের ওয়েনাড়ের বিপর্যয়েই তা ফের সামনে এসেছে। কেরল সরকার আর কেন্দ্রের সঙ্গে বাগযুদ্ধ চলছে।
তাই সৌগতবাবুর মন্তব্য, এমতাবস্থায় ফের ‘আরবান ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’ নামে নতুন এক অথরিটি তৈরিতে আমলাতান্ত্রিক অহেতুক জটিলতা বাড়বে। উদ্ধার কাজে দেরি হবে। সুযোগ পেয়ে সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, আর যাইহোক অমিত শাহ এই বিলটির নাম হিন্দিতে রাখেননি। ইংরেজিতেই আছে। তা নাহলে সবই তো ইদানিং হিন্দি নামে বিল পেশ হচ্ছে! যা শুনে বিরোধীদের মধ্যে হাস্যরোল ওঠে। বিলটিতে আপত্তি তুলে মণীশ তিওয়ারির দাবি, সংবিধান যে অধিকার কেন্দ্রকে দেয়নি, সেটাই করা হচ্ছে। রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ হচ্ছে।