কেবল পণ্য পরিবহণেই জোর রেলের? অবহেলায় যাত্রী সুরক্ষা!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: খোদ রেলের পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছর কেবল পণ্য পরিবহণেই মন দিয়েছে রেল। যাত্রী সুরক্ষায় নয়! ২০২০ নাগাদ করোনার জেরে শুরু হয় লকডাউন। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প আয়ের সন্ধানে রেলমন্ত্রক লাগাতার মালগাড়ি চালিয়ে অতিরিক্ত টাকা তোলার কৌশল নেয়। জানা যাচ্ছে, করোনা-পরবর্তী সময়ে পণ্যবাহী ট্রেন চালিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে রেল। পরিসংখ্যান বলছে, প্রাক করোনাকালে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে পণ্যবাহী ট্রেন চালিয়ে পূর্ব রেল ৪,২২৯ কোটি টাকা আয় করেছিল। করোনা পরবর্তী তিনটি অর্থবর্ষে রাজস্বের পরিমাণ হয়েছে ২০,৩২১ কোটি টাকা। প্রাক করোনা পর্বের তুলনায়, প্রতি অর্থ বছরেই বাড়তি আয়ের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
করোনার পর প্রিমিয়াম ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে। অধিকাংশ ছাড় ফেরেনি। করোনাকালে চলা মালগাড়ির সংখ্যা কমানো হয়নি। বরং বেড়েছে। যাত্রীবাহী ট্রেনের পাশাপাশি লাইনে বিরাট সংখ্যক মালগাড়ি চালাতেই ঘটছে বিপত্তি। দেশজুড়ে ঘটা ধারাবাহিক রেল দুর্ঘটনায় বারবার পণ্যবাহী ট্রেনকে দেখা যাচ্ছে।
বাহানাগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস, রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা, গোন্ডায় চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, গত মঙ্গলবার বেলাইন হওয়া আরেকটি মালগাড়ি! যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য বরাদ্দ লাইনে মাত্রাতিরিক্ত হারে মালগাড়ি চলছে। যাত্রী পরিবহণে পূর্ব রেল অত্যন্ত ব্যস্ত বলে জাতীয় স্তরে পরিচিত। কিন্তু বাস্তবে, যাত্রী সুরক্ষা শিকেয় তুলে পণ্য পরিবহণকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে পূর্ব রেল।
করোনাকালে পূর্ব রেল মালগাড়ি চালানোর গতি বাড়াতে বিশেষ অফিসার নিয়োগ করেছিল। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণের অর্ডার তোলা ছিল সেই অফিসারের মূল কাজ। বাণিজ্যিক সংস্থার চাহিদা মতো পণ্য পরিবহণকেই কি অগ্রাধিকার দিচ্ছে রেল?