ব্রডকাস্টিং খসড়া বিল নিয়ে মোদী সরকারের এত গোপনীয়তা কেন? সংসদে প্রশ্ন বিরোধীদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অর্থাৎ রাজনীতি, সমাজ ইত্যাদি সমকালীন যে কোনও বিষয় নিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করা হলে, সেই ব্যবহারকারী ও তার চ্যানেলকে কেন্দ্রীয় ব্রডকাস্টিং আইনের বিধিনিষেধের আওতায় নিয়ে আসতে চাইছে মোদী সরকার।
নতুন ব্রডকাস্টিং বিলের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেই বিল খতিয়ে দেখছে কিছু বিশেষজ্ঞ মহল। তবে অত্যন্ত গোপনে এবং সতর্কভাবে, যা বেনজির। যে কোনও আইন প্রণয়নের আগে প্রথম পদক্ষেপ, বিল তৈরি করা। সেই বিলের খসড়া সেব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মহলের মধ্যে বিলি করা হয়, যাতে তারা মতামত দিতে পারে। এমনকী বহু ক্ষেত্রে মন্ত্রকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি দেশবাসীর কাছেই মতামত চাওয়া হয়। সব মহলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা সেরে প্রয়োজনে সংশোধন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ করানো হয় সেই বিল। তারপর পেশ করা হয় সংসদে। কিন্তু নতুন ব্রডকাস্টিং খসড়া বিল নিয়ে চলছে প্রবল গোপনীয়তা। আর সেটির মূল উপজীব্য জানাজানি হতেই দেশজুড়ে বাড়ছে আশঙ্কা এবং প্রতিবাদ।
তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে এবার সরাসরি আইনের বেড়াজালে আনার লক্ষ্যেই এই বিল। কারণ, এই বিল পাশ হয়ে গেলে ইউটিউবার, ইনফ্লুয়েন্সার, ইউটিউবে চলা স্থানীয় স্তরের ডিজিটাল মিডিয়া, প্রতিটি অ্যাকাউন্টকেই সরাসরি নিয়ন্ত্রণে বা সেন্সরশিপের অধীনে নিয়ে আসা যাবে। সোজা কথায়, সরকার বিরোধী কোনও মন্তব্য কিংবা বক্তব্যের উপর চলবে আইনত নজরদারি।
রাজ্যসভায় বিষয়টি নিয়ে সরব হন তৃণমূল এমপি জহর সরকার। লিখিত প্রশ্নে তিনি জানতে চান, এরকম কোনও বিল আসছে কি না, যেখানে ডিজিটাল সাংবাদিকতা এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের ফারাক কমিয়ে আনা হচ্ছে? এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স তথা সংবাদের সংজ্ঞা অনেক সম্প্রসারিত করা হচ্ছে? সরকারের হয়ে তথ্য-সম্প্রচার রাষ্ট্রমন্ত্রী এল মুরুগান অবশ্য সরাসরি প্রশ্নগুলির উত্তর দেননি। রহস্য জিইয়ে রেখে বলেছেন, ‘ড্রাফট ব্রডকাস্টিং সার্ভিসেস (রেগুলেশন) বিল তৈরি হয়েছে। আলাপ আলোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে বিলি করা হয়েছে।’ জহরবাবুর অভিযোগ, সংসদ জানে না, অথচ কর্পোরেট ও সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে বিল চলে গেল?