বাদল অধিবেশনে বাতিল প্রশ্নোত্তর পর্ব? ক্ষুব্ধ বিরোধীরা
দু’সপ্তাহ পর শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। সরকারি সূত্রের মতে, ফি দিন অধিবেশনের সময় কমাতে সম্ভবত কোপ পড়তে চলেছে দিনের প্রশ্নোত্তর পর্ব ও জিরো আওয়ারের উপর। সরকারের ওই পরিকল্পনার সমালোচনা করে আজ টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। এর আগে, এই ইস্যুতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী।
বিরোধীদের বক্তব্য, প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমেই জাতীয় ও দেশের মানুষের সমস্যা সংসদে তুলে ধরার সুযোগ পান সাংসদেরা। তাই তাঁদের ওই অধিকার যেন কেড়ে না নেওয়া হয়। করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দু’মাস পিছিয়ে গিয়েছে বাদল অধিবেশন। এই পরিস্থিতিতে শাসক শিবিরের লক্ষ্যই হল, ফি দিন অল্প সময়ের জন্য সংসদ চালিয়ে প্রয়োজনীয় বিল পাশ করিয়ে নেওয়া। বিশেষ করে অর্থবিলগুলি, যাতে সরকার চালাতে সমস্যায় না পড়তে হয়। সূত্রের মতে, অধিবেশনের সময় কমাতে গিয়ে স্বভাবতই কোপ পড়তে চলেছে প্রশ্নোত্তর পর্ব ও জিরো আওয়ারে।
এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটারে লিখেছেন, সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার ১৫ দিন আগে সাংসদদের প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য প্রশ্ন জমা দিতে হয়। অধিবেশন শুরু হচ্ছে ১৪ই সেপ্টেম্বর। তার মানে কি প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল? সংসদের সময়সীমা তো একই থাকছে, তবে প্রশ্নোত্তর পর্বর ওপর কোপ কেন? অতিমারীর অজুহাতে গণতন্ত্রের হত্যা।”
অধীরবাবু চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘‘দিনের অধিবেশন অল্প সময়ে শেষ করতে গিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব ও জিরো আওয়ার বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু আপনাকে মাথায় রাখতে হবে জাতীয় সমস্যা ও দেশবাসীর স্বার্থের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলি ওই দু’টি সময়েই সংসদে তুলে ধরার সুযোগ পান সাংসদেরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের সমস্যার কথা বলতে না পারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের স্বার্থের পরিপন্থী।’’