ত্রিপুরায় ভোট গণনার আগেই কিছু আসনে ‘জয়ী’ বিজেপি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা! বিতর্কে নির্বাচন কমিশন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৩০৭৫ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়। কীভাবে এটা সম্ভব হল, তা নিয়ে শুরু হয় জলঘোলা এবং চরম বিভ্রান্তি। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য সুস্মিতা দেব বলেন, ‘বিরোধীমুক্ত ত্রিপুরা বানাতে চাইছে বিজেপি। পেশিশক্তি ও টাকার জোরে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে ত্রিপুরায় ভোট গণনার আগেই কিছু আসনে ‘জয়ী’ বিজেপি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা! বিতর্কে নির্বাচন কমিশন
বিজেপি শাসিত পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের আগেই ৭১.৪৩ শতাংশ আসনে জিতে বসে ছিল পদ্ম প্রার্থীরা! যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল ভোট গণনার আগেই কিছু আসনে ‘জয়ী’ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা। তাও আবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে।
গত ৮ আগস্ট পঞ্চায়েত ভোট অনুষ্ঠিত হয় ত্রিপুরায়। মাত্র ২৯ শতাংশ আসনে। অভিযোগ ওঠে, সেই আসন দখল করতেও বিরোধীদের উপর হামলা চালিয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই বিতর্কে মুখ খোলেনি নির্বাচন কমিশন। বরং শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব অসিত কুমার দাস জানান, ‘প্রথমবারের মতো ত্রিপুরায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। গণনার সময় সেখানেই রাজ্যবাসী ফলাফল দেখতে পারবেন।’ তাঁর সেই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই সচল হয়ে ওঠে ওয়েবসাইট।
ঊনকোটি জেলা পরিষদের ছয়, আট এবং ১৩ নম্বর আসনে বিজেপিকে জয়ী দল হিসেবে দেখিয়ে দেওয়া হয়। একধাপ এগিয়ে ছিল ঊনকোটি জেলা পরিষদ ৬ নম্বর আসন। সেখানে বিজেপি প্রার্থী বিমল করকে ১৮,৬৬৮ ভোটে জয়ী দেখানো হয়। ভোট গণনার দু’দিন আগেই। একই অবস্থা ঊনকোটি জেলার চণ্ডীপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতিরও। সেখানে বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী উড়াংকে বিজেপি। মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির মূল উদ্দেশ্য, যেনতেন ভোট দখল।’ তাঁর অভিযোগ, বিজেপিকে সাহায্য করছে কমিশন।
এই বিতর্ক সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই রবিবার সকালে নড়েচড়ে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাদের দায়সারা বিবৃতিতে বিভ্রান্তি আরও বেড়ে যায়। সচিবের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ত্রিপুরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য ১০ আগস্ট মহড়া চলছিল। সচিব বলেন, ‘যে ফলাফল ঘোষণা হয়েছে তাতে প্রার্থীর নাম ঠিক আছে। কিন্তু তিনি জয়ী বা পরাজিত বলে যেটা দেখা যাচ্ছে তা কাল্পনিক। এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই। ফলাফল প্রকাশিত হবে ১২ আগস্টই।’