জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

কিটো ডায়েটের খুঁটিনাটি 

September 3, 2020 | < 1 min read

আজকাল ‘কিটো ডায়েট’ একটি বেশ চলতি কথা। কম সময়ে মেদ ঝরাতে এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু কি এই কিটো ডায়েট?

সাধারণত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য বেশি খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থেকে যায়। কিটো ডায়েট যে প্রক্রিয়ায় ফ্যাটের থেকে উর্জার সৃষ্টি করে তাকে কিটোসিস বলা হয়।

কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ডায়েটকেই কিটো ডায়েট বলে। এর ফলে শরীরে উর্জার সৃষ্টির জন্য লিভারে কিটোন উৎপন্ন করা হয়।

সাধারণত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থেকে যায়। এই ডায়েটে প্রায় ৭০ শতাংশ ফ্যাট গ্রহণ করা হয়, অন্যদিকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন আর ৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকে।

কিটো ডায়েটে কি কি খাওয়া যায়

আপনি যদি আমিষ খান, তাহলে মাছ, মুরগির মাংস, খাসির মাংস  এবং ডিম খেতে পারেন। অন্যদিকে যারা নিরামিষাশী তারা  পাতা বহুল শাক, যেমন- পালং, মেথি প্রভৃতি খেতে পারেন। ফুলকপি, ব্রোকলি প্রভৃতি খাদ্য তালিকায় রাখতে ভুলবেন না।

এছাড়া  ফ্যাটের উৎস হিসাবে পনির, ক্রীম, মাখন খান। আখরোট, সূর্যমুখীর দানা, নারকেল তেল, উচ্চ ফ্যাট যুক্ত স্যালাড প্রভৃতি খেলেও আপনি লাভবান হবেন। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আখরোট খাওয়া খুবই জরুরি।

কি খাবেন না

কিটো ডায়েটে গম, ভুট্টা, ভাত, শস্যদানা এবং চিনি যতটা সমম্ভব কম খেতে বলা হয়। কলা, কমলালেবু এবং আপেল খাওয়া  উচিত না। আলু খাবেন না।

কিটোজেনিক ডায়েট ওজন কমানোর বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ, আমাদের শরীরের উর্জার স্রোতের জন্য আমাদের ফ্যাট জাতীয় খাদ্যের বেশি প্রয়োজন। আর তার ফলেই আপনার শরীরের ওজন কমতে শুরু করে। এই ডায়েটে সুগার ও ক্যালোরির মাত্রা কম   হয়, তাই মধুমেয়ের মতো রোগের জন্য খুবই উপকারী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Life Style, #diet

আরো দেখুন