আপনার ‘দুষ্টুটি’ মানসিক সমস্যার শিকার না তো!
শিশুদের প্রতিনিয়ত মেজাজ হারানো বাবা-মার জন্যে কখনোই সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। এই আবেগের বহি:প্রকাশ যদি বাড়ির বাইরে হয় তাহলে এর পরিণতি জন্য আরও গুরুতর হতে পারে। সেক্ষেত্রে কিভাবে বুঝবেন যে আপনার সন্তানটি শুধুই “দুষ্টু” নাকি তার এই অস্থির আচরণের পেছনে মানসিক অসুস্থতাই মূল কারণ?
শিশুরা কেন চিৎকার চেঁচামেচি করে?
যখন শিশুরা মানসিক চাপে থাকে, তখন তাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে হরমোন এবং অ্যাড্রেনালিনের সৃষ্টি হয়। যার কারণে তাদের শরীর শক্তিশালী, দ্রুতগামী ও ক্ষমতাবান হয়ে ওঠে এবং তারা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। এবং এই প্রতিক্রিয়া একপর্যায়ে প্রাকৃতিক-ভাবেই মিলিয়ে যায়।
খারাপ আচরণ মানেই কি মানসিক সমস্যা?
খারাপ আচরণ প্রকাশ মানেই যে সে মানসিক সমস্যার আক্রান্ত এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। এ ব্যাপারে মনরোগবিদ ক্যরেন ইয়াং জানিয়েছেন, মানসিক উদ্বিগ্নতা, সুস্থ মস্তিষ্কের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থেকে সৃষ্টি হতে পারে। তাদের এমন প্রতিক্রিয়া সুস্থ মস্তিষ্কেরই কাজ।
তবে এটাও ঠিক যে, খারাপ আচরণের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির যোগসূত্র রয়েছে। কারো যদি কোন সহায়তার প্রয়োজন হয় এবং সঠিক সময়ে যদি সে সেই সাহায্য না পায় তাহলে সেটা ব্যক্তির আচরণকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
রাগের বহি:প্রকাশ ছেলে ও মেয়েদের কি সমান?
রাগের প্রতিক্রিয়া সাধারণত মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের বেশি হয়ে থাকে। কেননা ছেলেদের নানা জায়গায় বাধার মুখে পড়ার হার মেয়েদের চেয়ে বেশি। ছেলেরা স্বভাবতই তাদের আচরণে বহি:প্রকাশ ঘটায়। তারা লড়াই বা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এবং তাদের হতাশা সহজেই আঁচ করা যায়।
অন্যদিকে মেয়েরা তাদের অনুভূতিকে স্বভাবতই দাবিয়ে রাখে। – তারা শুধু একা থাকতে চায়।
কখন বুঝবেন এটা মানসিক সমস্যা? করণীয় কি?
বাচ্চাদের আচরণ থেকেই জানা যায় যে তারা কিভাবে নিজেদের গোপন সমস্যা র সঙ্গে মানিয়ে চলছে। তাই এটা বোঝা জরুরি যে শিশুটি তার আচরণের মাধ্যমে আপনাকে কিছু বলার চেষ্টা করছে কিনা। তার সাথে কথা বলা খুব জরুরি। প্রয়োজনে নিন চিকিৎসকের সাহায্য।