চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জের, চিকিৎসা না-পেয়ে রাজ্যের নানা প্রান্তে মৃত অন্তত চার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের নানান হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে। সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। টিকিট কেটেও মিলছে না পরিষেবা। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন পাঁচটি চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। একাধিক সরকারি হাসপাতাল থেকে অনেকেই চিকিৎসা না-পেয়ে ফিরে গিয়েছেন। এমনকি বহু চিকিৎসা কেন্দ্রে শিশু বিভাগও খোলা হয়নি।
ইতিমধ্যেই বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে বালুরঘাট হাসপাতাল ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বালুরঘাট হাসপাতালে সময় মতো চিকিৎসক না-যাওয়ায় তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, প্রায় ২ ঘন্টা পর যান চিকিৎসক৷ জানা গিয়েছে, আট বছরের শিশুটির নাম শিবম শর্মা। বাড়ি বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে। টোটোর ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় ওই শিশু।
অন্যদিকে, চার ঘণ্টা ওপিডিতে অপেক্ষা করলেও চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাতেই মৃত্যু হয় এক যুবকের। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে আউটডোর বিভাগে চিকিৎসা করিয়ে রোগীর ভর্তি করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক না থাকার কারণে দেরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ। মৃত্যু হয় ওই রোগীর। মৃতের নাম পিয়ারুল শেখ। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙার মহেশপুর এলাকায়। পরিবারের বক্তব্য, রোগীর মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল। সকাল ৮টা নাগাদ ভর্তি করা হয়। ডাক্তার দেখতে আসে সাড়ে ১২টা নাগাদ।
মঙ্গলবার সাপে কামড়ের রোগীকে নিয়ে আসা হয়েছিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় ভর্তিও করানো হয় রোগীকে। ভর্তির তিন ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের। অভিযোগ, দু’টি ইনঞ্জেকশন দিয়ে বিছানায় হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয় রোগীকে। শরীর নীল হতে শুরু করেছিল রোগীর। নার্সদের তা জানানোয় ধমক খেতে হয় পরিজনদের। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যাসাগর সরকার নামে ৩২ বছরের ওই রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ সামনে এসেছে আরজি কর হাসপাতালে।