সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষিতার ছবি-নাম-পরিচয় প্রকাশ করার জের, FIR দায়ের পুলিশের

ধর্ষিতার দেহে ১৫০ গ্রাম সিমেন পাওয়া গিয়েছে। উত্তর শহরতলির এক নামী চিকিৎসক, অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন।

August 18, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষিতার ছবি-নাম-পরিচয় প্রকাশ করার জের, FIR দায়ের পুলিশের। গ্রাফিক্স: মোঃ রবিউল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সমাজ মাধ্যমে ধর্ষিতা চিকিৎসকের ছবি, নাম, পরিচয় ফাঁস করায় মোট ১৫টি এফআইআর দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, পকসো মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা রয়েছে, কোনও অবস্থায় নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে আনা যাবে না। ‘প্রতিবাদী’ সাজতে অনেকেই নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার ধর্ষিতা চিকিৎসকের ছবি, নাম পোস্ট করে গিয়েছেন নেটিজেনরা। আর জি কর কাণ্ডে গুজবে ভর করে মিথ্যাচার হচ্ছে প্রতিনিয়ত, ভিন দেশেও তা ছড়িয়েছে।

ধর্ষিতার দেহে ১৫০ গ্রাম সিমেন পাওয়া গিয়েছে। উত্তর শহরতলির এক নামী চিকিৎসক, অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। সিনেমা-সিরিয়াল থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এক মাঝবয়সী অভিনেত্রী প্রতিবাদে মুখর। ধর্ষিতার নাম, পরিচয় প্রকাশ করা এমন বেশ কয়েকজন এফআইআর তালিকায় রয়েছেন। গুজবে ভর করেই পূর্ব বর্ধমানের এক আদিবাসী কন্যাকে ‘ধর্ষণ এবং খুনে’র শিকার বানিয়েছিল ফেসবুক ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের একাংশ। প্রতিবাদে বিক্ষোভও করেছিল বিরোধীরা। শনিবার পূর্ব বর্ধমান পুলিশ জানায়, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।

দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম, পরিচয় ফাঁস করেনি সংবাদমাধ্যম। কিন্তু আর জি কর কাণ্ডে ইউটিউবার, চিকিৎসক, রাজনৈতিক কর্মী, অতি উৎসাহী জনতা ধর্ষণ এবং খুনের শিকার হওয়া তরুণী চিকিৎসকের ছবি, বাবা, মায়ের ছবি, এমনকী লেটারহেড সহ তাঁর লেখা প্রেসক্রিপশনও দেদার পোস্ট করে চলেছে। অবাস্তব গল্প, গুজব ও ভিত্তিহীন তথ্য পোস্ট করার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে ৪১ ধারায় নোটিশ পাঠিয়েছে লালবাজার। নোটিশের ভিত্তিতে শনিবার ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। সমাজ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোয় আরও ১৬৮ জনকে নোটিশ পাঠিয়েছে লালবাজার। নোটিশ প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

আর জি কর নিয়ে শুক্রবার লালবাজারে সাংবাদিক সম্মেলনে গুজব, ভিত্তিহীন খবর ছড়ানো নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। গুজব ঠেকাতে মরিয়া হয়ে আসরে নামছে লালবাজার। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল ও বিকৃত খবর পরিবেশন করছে। জানা যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এবং দ্য ব্রডকাস্টিং কনটেন্ট কমপ্লেইনস কাউন্সিলের (বিসিসিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে চলেছে লালবাজার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen