দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ কলকাতার রাস্তা- জানাল কেন্দ্রীয় রিপোর্ট
মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট। এই রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের অন্যান্য সব বড় শহরের মধ্যে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে কম কলকাতায়। তবে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো এখনও এই শহরের পক্ষে উদ্বেগের কারণ বলে এই কেন্দ্রীয় রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে।
দেশের ৫৩টি বড় শহরের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সমীক্ষা চালায় ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা এনসিআরবি। এই ৫৩টি শহরের মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে আছে কলকাতা। ২০১৯-এ গোটা দেশের এই ৫৩টি শহরের মধ্যে মোট যতজনের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে কলকাতার সংখ্যা সবচেয়ে কম। এই শহরগুলিতে পথ দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ০.৫ শতাংশ কলকাতায় ঘটেছে।
কলকাতায় যেখানে প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ২.৩ জনের মৃত্যু হয়েছে পথ দুর্ঘটনায়, সেখানে দিল্লিতে এই সংখ্যাটা ২৭.৭ এবং মুম্বইয়ে ৫০.২। ২০১৯ সালে কলকাতায় মোট ২৬৭টি পথ দুর্ঘটনা হয়েছে। ২০১৮-য় এই সংখ্যাাটা ছিল ৭৩৪। ২০১৮-র তুলনায় ২০১৯-এ কলকাতায় পথ দুর্ঘটনা কমেছে ৫৬ শতাংশ। তবে মদ খেয়ে গাড়ি চালানো এখনও এই শহরের একটি উদ্বেগজনক চিত্র। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য ২০১৯-এ কলকাতায় ৭১টি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে চার জনের ও আহত হয়েছন ৫০ জন।
বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য ২০১৯ সালে কলকাতায় তিনটি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং চারজনের মৃত্যু হয়েছে। দ্রুতগতিতে গাড়ি ছোটানোর জন্য গত বছরে শহরে ১৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর প্রবণতা কমাতে সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। আবহাওয়া এবং খারাপ রাস্তাও অনেক সময় পথ দুর্ঘটনার কারণ হয় বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
তিন বছর আগে লঞ্চ করার পর থেকেই সেভ লাইভ সেফ ড্রাইভ ক্যাম্পেন যথেষ্ট সফল বলে জানিয়েছেন লালবাজারের একজন সিনিয়র অফিসার। তিনি আরও জানান, ‘রাতের বেলার গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবি উঠে যাবে এমন ক্যামেরা বসানো হয়েছে শহরের রাস্তায়। এছাড়া সব জায়গা এমনকি ফ্লাইওভারগুলিতেও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং স্পিড গান বসানো আছে। তবে রাতের দিকে এখনও টু-হুইলারের বেপরোয়া গতি নিয়ে রিপোর্ট পাচ্ছি। সেগুলি সম্পর্কেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘