রোগীর পরিজনদের ভুল বুঝিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে
বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতে হু হু করে ভিড় বাড়ছে। চালকদের অবশ্য বক্তব্য, রোগীর পরিবারের কথা অনুযায়ী তাঁরা কাজ করছেন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ক্রমেই ছন্দে ফিরছে জেলা হাসপাতালগুলির আউটডোর। ইমারজেন্সিও সচল। সর্বত্র চেনা ছবি। নয়া অভিযোগ সামনে আসছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনাজুড়ে লাগাতার অভিযোগ উঠছে, বহু অ্যাম্বুলেন্স চালক রোগীর পরিজনদের ভুল বুঝিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে কয়েক দিন আউটডোর বন্ধ ছিল। তারপর খুলেছে। তবে এখনও দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষকে বিভ্রান্ত করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে চলে যাচ্ছেন কিছু অ্যাম্বুলেন্স চালক। রোগীদের আত্মীয়দের অভিযোগ; চালকেরা বলছেন, সরকারি হাসপাতালে এখন পরিষেবা বন্ধ। নার্সিংহোমে চলুন। তাঁরাই রোগীদের নিয়ে যাচ্ছেন নার্সিংহোমে। প্রতিদিন এরকম ভুল বোঝানোর খেলা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রামে গ্রামে চালকদের একাংশ যাচ্ছেন আর বলছেন, সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। পরিষেবা চালু হয়নি। যেতে হলে নার্সিহোমে যেতে হবে। বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতে হু হু করে ভিড় বাড়ছে। চালকদের অবশ্য বক্তব্য, রোগীর পরিবারের কথা অনুযায়ী তাঁরা কাজ করছেন।
রোগী ভর্তি, অস্ত্রোপচার কিছুই বিঘ্নিত হয়নি ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে, তবে রোগীর চাপ এখনও কম। চিকিৎসারতরা পরিষেবা নিয়ে কোনও অভিযোগ করছেন না। ১২ থেকে ১৯শে আগস্ট পর্যন্ত ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ১৯৫টি প্রসব হয়েছে। যদিও ছ’শো শয্যার অর্ধেক এখনও খালি। বারুইপুর হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে গত এক সপ্তাহে ৪০ জন রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে রোগীদের। তবে ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন রোগীরা।