রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অনুমতিহীন, বেআইনি নবান্ন অভিযান! কেমন প্রস্তুতি পুলিশের?

August 27, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অনুমতিহীন নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। নিত্যযাত্রীদের ও শহরে আসা মানুষদের ভোগান্তির আশঙ্কা থাকছেই। জন্মাষ্টমীর ছুটির পর সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন আজ, নবান্ন অভিযানের জেরে সাধারণ মানুষ থেকে অফিসযাত্রীরা রাস্তায় ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে পারেন।লালবাজারের স্পেশাল ব্রাঞ্চের রিপোর্ট, সকাল ৯টার পর থেকে ভিড় জমতে শুরু হবে। কলেজ স্কোয়ার-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল যেতে পারে নবান্নের উদ্দেশ্যে। ‘অনুমতিহীন’ মিছিল ঠেকাতে প্রস্তুত লালবাজার ও হাওড়া পুলিশ। সূত্রের খবর, নবান্নমুখী সবকটি রাস্তা প্রয়োজন মতো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

সোমবার, লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক করে ডেপুটি কমিশনার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, নবান্ন অভিযান নিয়ে কেউ কোনও গুজব ছড়াবেন না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে কোনও বিক্ষোভ, আন্দোলন হতেই পারে। কিন্তু, তার জেরে আজ কেউ আইন নিজে হাতে তুলে নেবেন না। সাধারণ মানুষ রাস্তায় কোনও সমস্যায় পড়লে ১০০ ডায়ালে যোগাযোগ করতে পারবেন।

লালবাজার সাফ জানিয়েছে, নবান্ন অভিযান নিয়ে সংগঠকরা কোনও রকম পুলিশি অনুমতি নেননি। এমনকী, মিছিল সম্পর্কে নিয়ম মেনে পুলিশকে জানানোও হয়নি। লালবাজারের তরফে মেল করে সংগঠকদের কাছে মিছিলের সময় ও রুট জানতে চাওয়া হয়। মেলের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি বলে দাবি পুলিশের। লালবাজারের ও রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, নবান্নের উদ্দেশ্যে মূলত ৩টি জায়গায় জমায়েত করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সাঁতরাগাছি, হাওড়া স্টেশন ও কলেজ স্কোয়ার। জমায়েত থেকে মিছিল যেতে পারে নবান্ন অভিযানে।

কলকাতার দুই প্রান্তে বিরাট প্রস্তুতি লালবাজারের, হাওড়া ব্রিজের দিকে অ্যাপ্রোচ রোড ও ব্র্যাবোর্ন রোড-স্ট্র্যান্ড রোড ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের দিকে হেস্টিংস ক্রসিং, ফারলং রোড, টার্ফ ভিউতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাওড়া ব্রিজ ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার সব ক’টি র‌্যাম্পের মুখে শহরের মোট ১৯টি জায়গায় পাকাপোক্ত ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকেই হেস্টিংস, প্রিন্সেপ ঘাট, খিদিরপুর রোডে মাটি খুঁড়ে গাছের গুঁড়ি দিয়ে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। ৫টি জায়গায় অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড লাগিয়েছে লালবাজার। জমায়েতস্থল হিসেবে কলেজ স্কোয়ারে অতিরিক্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) জানান, শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৬ হাজারের বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারের তদারকিতে ৮ জন যুগ্ম কমিশনার ও ২৬ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার মোতায়েন রাখা হবে। কলকাতা পুলিশের স্পেশালাইসড ফোর্স, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র‌্যাফ) থাকছে সবকটি স্পর্শকাতর পয়েন্টে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ও বেআইনি জমায়েত হটাতে হেস্টিংস, হাওড়া ব্রিজ অ্যাপ্রোচ রোড ও কলেজ স্কোয়ারে ওয়াটার ক্যানন ও কাঁদানে গ্যাসের শেল প্রস্তুত রাখছে লালবাজার। জমায়েত শুরু হলেই ড্রোন নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশ। অন্যদিকে, হাওড়া প্রান্তে সাঁতরাগাছি ও হাওড়া স্টেশনে জমায়েত হওয়ার কথা রয়েছে। অভিযানকারীদের রুখতে প্রায় ২ হাজার পুলিস মোতায়েন করছে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata Police, #Nabanna, #West Bengal Police, #nabanna abhijan

আরো দেখুন