নবান্ন অভিযানের জেরে বন্ধ মঙ্গলাহাট, প্রায় ৮০ কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা
একেবারেই ঝুঁকি নিতে চাইছে না পুলিশ-প্রশাসন। মঙ্গলবার মঙ্গলাহাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট। পাইকারি, খুচরো, সব ধরনের বেচাকেনা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তারা। মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের। কয়েকদিনের মধ্যেই জমে উঠবে পুজোর বাজার। দূরদূরান্ত থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা মঙ্গলাহাট থেকে পাইকারি দরে জামাকাপড় কিনবেন। ব্যবসার ভরা মরশুমে হাট বন্ধ থাকায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের নির্দেশে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই ব্যবসায়ীরা কারবার গুটিয়ে ফেলেছেন। রাতে বাড়ির রাস্তা ধরেছেন ভিন জেলার ক্রেতা-বিক্রেতারা।
হাওড়া ময়দান সংলগ্ন একাধিক রাস্তা ও বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বসে বিখ্যাত এই পাইকারি হাট। খুচরো বিক্রিও হয়। হাটের দিন ফোরশোর রোড, চার্চ রোড, এম জি রোড-সহ সংলগ্ন এলাকায় ভিড় থাকে। প্রতি সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার ভোররাত থেকে চলে বেচাকেনা। মঙ্গলাহাটের ১২টি বহুতল ভবনে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার ব্যবসায়ী রয়েছেন। দু’দিকের ফুটপাতে বসেন আরও ২০ হাজার ব্যবসায়ী। হাওড়া, হুগলি দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, বর্ধমান, নদীয়া থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন। ওড়িশা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, এমনকী উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে বহু ব্যবসায়ী পাইকারি দামে পণ্য নিয়ে যান। মঙ্গলবার হাট বন্ধের নির্দেশে তাঁরা প্রত্যেকে লোকসানের মুখে পড়তে চলেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় মঙ্গলাহাটের একাধিক ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেন হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা। রাতের মধ্যেই জিনিসপত্র গুটিয়ে এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুজোর আগে এই লোকসান কীভাবে সামাল দেবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।