রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

চাই ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন, দাবি নিয়ে দিল্লি যাবে তৃণমূল: অভিষেক

August 28, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল বিজেপি ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল। আমরা ২০১১ সাল থেকে বলে আসছি, আমরা বন্‌ধের রাজনীতির বিরুদ্ধে। এই কর্মনাশা, সর্বনাশা বন্‌ধের বিরুদ্ধে আমরা। আমি বিজেপির বাংলার নেতৃত্বকে অনুরোধ করব, প্রতি ২৮ অগস্ট আমরা একটি করে বন্‌ধ ডাকুন। তা কী ভাবে প্রতিহত করতে হয়, বাংলার মানু‌ষ জানে। অতীতের সব ২৮ অগস্টের সমাবেশের রেকর্ড আজ ভেঙে গিয়েছে।”

নবান্ন অভিযান নিয়ে অভিষেক বলেন, “ইট, পাটকেল, ঢিল ছুড়ে পুলিশকে আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশ যে সংযমের পরিচয় দিয়েছে, তা প্রমাণ করে বাংলা উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাট বা মণিপুর নয়। গতকাল যাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন, কোনও ভদ্রলোককে আপনি দেখতে পাবেন না। আমরা দেখেছি, কেউ বলছেন বিএসসিতে সায়েন্স নিয়ে কমার্স পড়ছেন। কারও ২৩ বছর বয়স, বলছে স্কুলে পড়ে কিন্তু স্কুলের নাম বলতে পারছেন না। এই হল বিজেপির প্রকৃত চেহারা।”

মেয়েদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচিকে সমর্থন করে অভিষেক বলেন, “আমরা সেই লড়াইকে সম্মান জানাই। যাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন বা রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করেছিলেন, তাঁদের একটাই দাবি ছিল। ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা এবং বিচার ব্যবস্থা দ্রুত সম্পন্ন করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।”

এদিনও ধর্ষণ বিরোধী আইনের দাবিতে সরব হন অভিষেক। বলেন, “দেশে ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন আসা উচিত কি উচিত না? এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে দোষী সাব্যস্ত করার মতো আইন আসা প্রয়োজন কি না? যাঁরা নবান্ন অভিযান করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করছেন, তাঁরা ক্ষমতা থাকলে দেশে ধর্ষণ বিরোধী আইন আনার জন্য নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে দাবি জানান। এদের ক্ষমতা নেই এই আইন আনার। কারণ যদি এই আইন আসে, তা হলে সবার আগে জেলে যাবেন বিজেপির লোকেরা।” তিনি আরও বলেন, “১৪ অগস্ট হাই কোর্ট সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছেন। নেই নেই করে ১৪ দিন অতিক্রান্ত। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন সন্দীপ ঘোষ কেন সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হননি? কেন এই ২৪ দিন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়নি, সিবিআইকে সেই জবাব দিতে হবে।”

আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে অভিষেক বলেন, “মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও অন্যায়ের ঘটনা সবচেয়ে বেশি কোনও রাজ্যে যদি ঘটে থাকে, এনসিআরবি অনুযায়ী প্রথমেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, দ্বিতীয় মধ্যপ্রদেশ, তৃতীয় রাজস্থান, চতুর্থ মহারাষ্ট্র। যারা সন্দেশখালি করে, মহিলাদের মান-সম্মান-সম্ভ্রম দু’হাজার টাকার বিনিময়ে দিল্লির বুকে বিক্রি করেছেন, তাঁদের নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। যাদের আমলে হাথরস, কাঠুয়া, বদলাপুর, উন্নাও হয়েছে, সেই নারী বিরোধী বিজেপির কাছে বাংলার মানুষকে রাজনীতি করা শিখতে হবে না।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#abhishek banerjee, #TMCP Foundation Day

আরো দেখুন